বারংবার নিয়মানুযায়ী ইট দিয়ে সড়ক নির্মাণ করার তাগিদ দিয়ে আসলেও তা সত্বে নিন্মমানের ইট ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণ করছে। এ অভিযোগে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা রবিবার বিকালে সড়কের ১ হাজার নিন্মমানের ইট জব্দ করে প্রকাশ্যে নিলামে সাড়ে ৪ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রেজানাগেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের আওতাধীন নারুয়া ও নবাবপুর ইউনিয়নে ৬৩ লক্ষ টাকা ব্যায়ে দেড় কিলোমিটার সড়ক ইটের সলিং দ্বারা উন্নয়ন কাজ পায় মেসার্স রহিম ট্রেডার্স। ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্ধারা জানান, নারুয়া ইউনিয়নের বিলধামু থেকে তালুকপাড়া অভিমুখে ইটের সলিং দ্বারা উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। কাজের শুরুতেই নিন্মমানের ইট ব্যবহার করে আসছে। এলাকার লোকজন বাঁধা দিলেও তা সত্বে কাজ চালিয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা ও নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নিকট বলা হয়। তা সত্বেও নিন্মমানের ইট ব্যবহার করে আসছিল। উপজেলা চেয়ারম্যান সরেজমিন নিন্মমানের ইট ব্যবহারের বিষয়টিও দেখেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা ঠিকাদারকে একাধিকবার জনসম্মুখে ভালো মানের ইট ব্যবহার করাসহ নিন্মমানের সরিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। তা সত্বেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বলেন, কাজের শুরুতেই ঠিকাদারের বিরুদ্দে নিন্মমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠে। তাদেরকে বারংবার আমিসহ ইউএনও স্যার সতর্ক করেছেন। তার সত্বেও নিন্মমানের ইট ব্যবহার করে আসছিল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা বলেন, নারুয়া ইউনিয়নের বিলধামু-তালুকপাড়া সড়কে দীর্ঘদিন ধরে নিন্মমানের ইট ব্যবহার করার অভিযোগ আসছিল। ঠিকাদারকে বারবার ভালো মানের ইট ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তা সত্বেও নিন্মমানের ইট ব্যবহার করছিল।
রবিবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পাই নিন্মমানের ইট ব্যবহার করছে। এসময় ১ হাজার নিন্মমানের ইট জব্দ করাসহ প্রকাশ্যে নিলামে সাড়ে ৪ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়। ভালো মানের ইট ব্যবহারের জন্য ঠিকাদারকে আবারো সতর্ক করা হয়েছে।