ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের বিধ্বস্ত দুর্গা মন্দিরের স্থান বহাল রাখা ও পূনঃস্থাপনের দাবীতে সোমবার সকাল ১১টায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন উক্ত মন্দির কমিটির সদস্যরা। তারা উপজেলা পরিষদের সামনের খোলা চত্তরে একে অপরের হাতে হাত ধরে প্রায় এক ঘন্টাকাল দাড়িয়ে থেকে দাবী দাওয়া তুলে ধারার পর ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন। এর আগে গত ৪মে বিকেলে উক্ত গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক পক্ষ আকস্মিক হামলা করে মন্দির ঘরটি ভেঙে দিয়ে জমি দখল করে নেয় এবং মন্দির রক্ষা কমিটির সদস্যদের মারধর করে চার জনকে আহত করে। এ ঘটনায় চরভদ্রাসন থানায় হিন্দু সম্প্রদায়ে দু’পক্ষের মধ্যে থেকে দু’টি মামলা হয়েছে এবং মামলার আসমীরা জামিনে আছেন।
সোমবার উক্ত মন্দির রক্ষা কমিটির সাধারন সম্পাদক শংকর চন্দ্র মন্ডলের নেতৃত্বে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এ মানববন্ধন কর্মসূচীতে দাবী দাওয়া তুলে ধরে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য দেন, মুক্তি মন্ডল (৩০), মীতা মন্ডল (২০) ও আশুতোষ মন্ডল (৫২) প্রমূখ।
স্মারকলিপিতে প্রকাশ ও বক্তারা বলেন, প্রায় ১২ বছর আগে ্উক্ত গ্রামের মৃত স্বর্বেশ্বর মন্ডলের দুই ছেলে শংকর চন্দ্র মন্ডল ও হরিপদ মন্ডল দুইভাই মিলে দুর্গা মন্দিরের নামে তিন শতাংশ জমি দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেন। এরপর থেকে উক্ত মন্দিরে স্থানীয় সনাতন ধর্মালম্বিরা বিভিন্ন পূঁজা পার্বন সহ ধর্মীয় কার্যাবলী পালন হয়ে আসছেন। সম্প্রতী একই গ্রামের আরেক পক্ষ সুরেশ মন্ডল গং দুর্গা মন্দিরের তিন শতাংশ জমির মালিকানা দাবী করে চলেছে। সুরেশ মন্ডলের সংঘবদ্ধ দল গত ৪ মে মন্দির ঘরটি ভাঙতে থাকলে মন্দির রক্ষা কমিটির লোকজন মোবাইল ফোনে তা ভিডিও করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে। সুরেশ মন্ডল বাহিনীর ভয়ে বর্তমানে উক্ত মন্দিরে এলাকার কেউ পুজা পার্বন বা ধর্মক্রীয়া করতে সাহস পায় না। তাই সুরেশ মন্ডল ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মন্দিরটি পূনঃস্থাপনের জোর দাবী তোলেন বক্তরা।
এ ব্যাপারে সোমবার সুরেশ মন্ডল (৬০) কে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, “ মন্দির ঘরের জমি ওয়ারিশানা স্বত্তের দাবীতে আমরা অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। তাই ক্রেতাকে জমি দখল দেওয়ার জন্য মন্দির ভেঙে তা অন্যত্র উঠিয়ে দিতে চেয়েছি, কিন্ত মন্দির রক্ষা কমিটি বাঁধা দেওয়ার কারনে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে”।