শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়া, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে আলো ছড়াতে শিশু বান্ধব ‘মজার স্কুল’। পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে এই মজার স্কুলের সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক গরীব-দুস্থ শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এরপরে তাদের নিয়ে ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।
১৯মে ইফতার হাবিপ্রবি’র অন্তর্ভুক্ত হাবিপ্রবি স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে এই ঈদ বস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় ।
ঈদ বস্ত্র (নতুন জামা) ও খাদ্য সামগ্রী (পোলাও চাল, সেমাই, চিনি, পাপড়) বিতরণ শেষে মজার স্কুলের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন (টিএসসি) কেন্দ্রে ইফতার করানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদারসহ হাবিপ্রবি মজার স্কুলের সদ্য বিদায়ী সভাপতি শহিদুল ইসলাম ফাহিম ও নব নির্বাচিত সভাপতি রাগিব হাসান সিফাত, সাধারণ সম্পাদক অনামিকা স্যানাল, কোষাধক্ষ্য আসমাউল হুসনা মীম, মজার স্কুল কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
উল্লেখ্য, ‘নিরক্ষর মুক্ত দেশ গড়া- মজার ছলে শেখাবো মোরা'’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর একঝাঁক উদ্যমী তরুন শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে পরিচালিত এ মজার স্কুল' এর যাত্রা শুরু হয়। এর পরিচালনায় মজার ইস্কুল নামে একটি কমিটি রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের কর্নাই, নন্দাপাড়া, হাজীপাড়া, শুভ্রা, মহাবলীপুর গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত শিশুরাই এ মজার স্কুলের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এক পার্শে একটি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল রয়েছে। হাবিপ্রবি’র স্কুলেই অস্থায়ীভাবে চলছে এই ‘মজার ইস্কুল’।
একদল হাবিপ্রবি’র তরুণ শিক্ষার্থীরা তাদের পকেট খরচ থেকে কিছু অর্থ বাঁচিয়ে সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের বই, খাতা, কলম ও টিফিনের জন্য ব্যয় করছে। স্কুলটির শিক্ষক রয়েছে ৪০জন। এখানে শিশু থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ১২০জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান দেয়া হয়।