গত ১২ই মে বরিবার রাত সাড়ে ১১টায় রাজধানী মধ্য বাড্ডার বৈশাখী স্বরণীর এক বাসায় সাউথ এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালের ২য় বর্ষের মেধাবী ছাত্রী এবং জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট গ্রামের কালাই ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক মাহমুদুল হাসানের মেয়ে নওশিন আক্তার সাবা’র মৃত্যু নিয়ে নানা রসহ্য তৈরি হয়েছে। তার পরিবারের দাবী, নওশিন আক্তার সাবা’র স্বামী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সেলিম আহমেদ তাদেন মেয়েকে নিজ হাতে হত্যা করে আতœহত্যার নাটক সাজিয়ে চালানো হয়েছে। নওশিন আক্তার সাবাকে হত্যা করা হয়েছে এই দাবী করে তারা পরিবার ঘকত সেলিম আহমেদ এর দ্রুত দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী ও সাবা’র হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জয়পুরহাট নারী মুক্তি সংসদ শাখার উদ্যোগে সোমবার সকালে কালাই বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় কালাই-বগুড়া মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ওই মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন কালাই সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. নাজিম উদ্দিন, কালাই উপজেলার হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন-সম্পাদক ও কালাই ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ধজেন্দ্র নাথ দাস, জয়পুরহাট নারী মুক্তি সংসদ শাখার সভাপতি সেলিমা দিল আফরোজ হাসি, কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম বকুল, জয়পুরহাট নারী মুক্তি সংসদ শাখার সাধারণ সম্পাদক ফরিদা চৌধুরী, সাবা’র বাবা কালাই ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, সাবা’র ছোট বোন উম্মে খাতুন, কালাই উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এম এ করিম ও উপজেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মোছা.রতœা রশীদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমাদের নওশিন আক্তার সাবা আতœহত্যা করেনি। সে কেন আতœহত্যা করবে। সেলিম আহমেদ সাবা’কে নিজ হাতে হত্যা করেছে। বর্তমান সাবা’র স্বামী ঘতক সেলিম আহমেদ পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে কেন গ্রেফতার করছেনা। পুলিশ কেন নিরবতা ?, পুলিশ ঘতক সেলিমের পরিবারের সঙ্গে আঁতাত করেছেন বলে তাদের ধারনা। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হলে সব ঘটনা বেড়িয়ে আসবে। হত্যাকারি সেলিমের দ্রুত দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করছি আর আমাদের মেয়ে সাবা’র হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।