প্রায় কোটি টাকা দামের পাজেরো এক্স মডেলের একটি করে গাড়ি পাচ্ছেন উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তারা। এই গাড়ি কিনতে কোনো দরপত্র আহবান করা লাগেনি। দীর্ঘ সময় লাগার **হাতে উম্মক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার পথে না হাটার পক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালায়। মাঠ প্রশাসনের জুনিয়র কর্মকর্তাদের জন্য আপাতত ১০০টি গাড়ি কেনার জন্য এক হাজার কোটি টাকার সংকুলানে সরকারের জন্য কোনো সমস্যা না হলেও খুলনাঞ্চলের ৩৩ হাজার পাট শ্রমিকের জন্য মাত্র ৫৯ কোটি টাকার খোঁজে আমাদের অর্থমন্ত্রীকে হতে হয় গলদঘর্ম।
গত মে থেকে খুলনার ৯টি রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকল শ্রমিকরা ৯ দফা দাবিতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে এসেছেন আবারও। একদিকে প্রচন্ড দাবদাহে খোলা আকাশের নিচে সামান্য সাহায্যে কেনা খাবারকে সামনে রেখে ইফতারের অপেক্ষায় শরীর থেকে ঝড়ানো ঘামের পয়সার দাবিতে হাজারো ভুখা মানুষ অন্যদিকে সরকারের মাত্র কয়েকজন জুনিয়র কর্মকর্তার জন্য হাজার কোটি টাকার গাড়ি কেনার ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর। এদেশে মানুষে মানুষে স্বপ্ন দেখাতেও কত বৈষম্য। কারো কারোর জন্য ঈদে ছেলে মেয়েদের মুখের সামনে একটু সেমাই তুলে দেয়ার জন্য সাহস খুজে পাওয়াটাও একটা দুঃস্বপ্নের মতো, কারোর বা স্বপ্ন দেখার জন্য দুচোখ বন্ধ করার আগেই হাতে চলে আসে সুপরিসর, শক্তিধর আর পর্যাপ্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ফোর হুইল ড্রাইভারের গাড়ির চাবি।
তবে উপায়হীন নতুন এই আন্দোলনের প্রায় ২ (দুই) সপ্তাহের মাথায় এসে ঈদের আগে পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার জন্য মন্ত্রনালয়কে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়। এটিই এই মুহুর্তে আমাদের সবার কাছে একটি বড় খবর। তবে শঙ্কা থেকে যার বৈকি। কারণ এর আগে চলতি মাসের ২ তারিখের মধ্যে ২২ সরকারি পাট কলের সব শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের বেতন দেওয়ার ঘোষনা এসেছিলো সরাকারের পক্ষ থেকে। তা বাস্তবায়ন না হওয়ার কারনেই উত্তাল হয়ে ওঠে শিল্পাঞ্চল খুলনা শ্রমিকদের ক্ষুদ্র আওয়াজ। এদেশের শ্রমিক দের সাথে যতো সহজে প্রতিশ্রতির ভঙ্গ করা যায় ততোটা সহজ কাজ সম্ভবত আর কিছু নেইবলে মন্তব্য করেছেন। বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা, লেখক, সাংবাদিক ও গোবিন্দগঞ্জ রিপোটার্স ফোরাম সভাপতি কমরেড রফিকুল ইসলাম রফিক।