পাবনার কাজীরহাট এবং মানিকগঞ্জের আরিচা পদ্মা-যমুনা নৌ-পথে যাত্রীবাহী স্পিডবোটে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। মাত্র ২০মিনিটের ওই নৌ-পথে যাত্রী প্রতি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ২‘শ টাকা। এতে যাত্রীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার ঠান্টু শেখ জানান, কাজীরহাট-আরিচা পদ্মা-যমুনা নৌ-পথের যাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে লঞ্চ এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাতায়াত করে আসছিলেন। কিন্তু গত চার বছর অগে ওই নৌ-পথে লঞ্চ এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকার পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানায় যাত্রীবাহী স্পিডবোট সার্ভিস চালু করা হয়। স্পিডবোটে পদ্মা-যমুনা নৌ-পথ পার হতে সময় লাগে মাত্র ১৫ থেকে ২০মিনিট। অন্যদিকে লঞ্চ এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকায় পার হতে সময় লাগে ১থেকে দেড় ঘন্টা। ফলে ওই নৌ-পথের পঞ্চাশভাগ যাত্রী সময়ের কথা চিন্তা করে দ্রুত পদ্মা-যমুনা নৌ-পথ পার হতে স্পিডবোটের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। আর এ সুযোগে স্পিডবোট কর্তৃপক্ষ মাত্র ১৫ থেকে ২০মিনিটের ওই পথে যাত্রী প্রতি ভাড়া নির্ধারণ করেন ২‘শ টাকা। বিশেষ করে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব থাকার সুযোগে স্পিডবোট কর্তৃপক্ষ তাদের ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছেন। ভুক্তভোগী যাত্রী রফিকুল ইসলাম জানান, যাত্রী প্রতি ২‘শ টাকা ভাড়া নেওয়ার পাশাপাশি যাত্রীদের হাতে থাকা সাধারণ মালা-মাল ভর্তি ব্যাগের জন্য আরো ৫০ থেকে ১‘শ টাকা আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করেও কোন ফল হয়না। ফলে যাত্রীরা দিনের পর দিন মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই স্পিডবোটে যাতায়াত করছেন। এ বিষয়ে জানতে বেড়ার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ আলীকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।