লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে কাজী মামুন (২২) নামে এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গুরুত্বর জখম হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) রাত ৯টার দিকে চন্দ্রগঞ্জের কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে ওই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় মাটিতে লুটে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেল্লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। কাজী মামুন সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের শেখপুর গ্রামের শামছুল আলমের ছেলে ও ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দলীয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক দল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কাজী মামুনের উপর হামলা চালায়। তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: আনোয়ার হোসেন জানান,তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক। তবে চিকিৎসার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া তাকে অন্যত্র রেফার করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কাজী মামুন,কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহ-সভাপতি রাজিবুল ইসলাম নিশান (২৮) এক দল সন্ত্রাসী নিয়ে অতর্কিতভাবে আমার উপর হামলা চালায়। এ সময় কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এম মাসুদ, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সজিব (১৯), ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সবুজ (১৯), চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শাহ-পরান শাকিলসহ আরো ১৫/২০ জন আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা পলাতক রয়েছে। যার ফলে এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এম আলাউদ্দিন জানান, হামলাকারীরা সবাই ডাকাত বাবলু বাহিনীর সদস্য। তারা কাজী মামুনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে। সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান,ঘটনাটি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।