চাটমোাহরসহ চলনবিল অঞ্চলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন পুরোদমে চলছে ধান কাঁটা আর মাড়াইয়ের কাজ। কিন্তু ধানের ফলনে কৃষক খুশী হলেও দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। সরকারি খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহের নামে চলছে নাটক। প্রতিটি উপজেলায় ইউনিয়নওয়ারী বরাদ্দকৃত ধান সরবরাহের জন্য ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে কৃষক ধান দিতে পারছেন না।
এদিকে আবহাওয়া অনুকূলে আর ক্ষেতের ধান একসাথে পেকে যাওয়ায় চাটমোহরসহ আশপাশের উপজেলায় কৃষি শ্রমিকের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। ধান কাঁটা শ্রমিক যেন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। ৮শ’ টাকা দিয়েও একজন শ্রমিক মিলছে না। বাজারে যেখানে একমণ ধানের দাম ৬শ’ থেকে ৬৫০ টাকা,সেখানে একজন কৃষি শ্রমিকের মজুরী ৮/৯শ’ টাকা। শ্রমিক সংকটের কারণে অনেকেই জমির পাকা ধান নিয়ে বিপাকেপড়েছেন। যেকোন মূহুর্তে কালবৈশাখী ঝড় কিংবা শিলাবৃষ্টি আঘাত হানকে পারে-এ আশংকায় রয়েছেন কৃষককূল। অপরদিকে একবিঘা জমির ধান কাটতে চুক্তি দিতে হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার টাকায়। চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়ালের কৃষক আঃ লতিফ,রব্বান আলীসহ অন্যরা জানান,শ্রমিকের মজুরী আর আবাদের খরচ মিলে এক বিঘা জমিতে লোকসান হচ্ছে তাদের। তারা জানান,সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের বিষয়টি তাদের জানা নেই। এদিকে চাটমোহর উপজেলায় ৩৩৪ মে.টর ধান সংগ্রহ করা হবে বলে জানান উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন এ কাইয়ুম। এজন্য ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠণ করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারাই কৃষকদের তালিকা দিয়ে ধান দিবেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,কোন কৃষকই বিষয়টি জানেন না।