ফরিদগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে ফরিদগঞ্জ থানায় দায়েকৃত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি নিহত উম্মে কুলছুমা আঁিখর স্বামী আমানত শাহের তিন দিনের রিমা- শেষে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জাকারিয়া জানান, গৃহবঁধু উম্মে কুলছুমার হত্যা মামলার ঘটনায় আদালত মামলার প্রধান আসামি উম্মে কুলছুমার স্বামী আমানত শাহকে তিন দিনের রিমা- মঞ্জুর করে। সেই মতে গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত রিমা-ে নিয়ে আসা হয় তাকে। এ সময় তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি জানান, রিমা-ে আমানত শাহ গুরুত্বপূর্ন কিছু জানা যায় নি।
এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আবদুর রকিব জানান, উম্মে কুলছুমা হত্যা মামলার রিমা- শেষে প্রাপ্ত তথ্যাদি তদন্ত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ জানুয়ারী ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ফনিশাইর গ্রামের বড় সর্দার বাড়ির গোলাম সারওয়ারের মেয়ে মোসাম্মৎ উম্মে কুলছুমা আঁিখর সাথে পারিবারিক সম্মতিতে শাহরাস্তি উপজেলার উয়ারুক গ্রামের আজকারি মাইজের বাড়ির মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আমানত শাহের সাথে বিয়ে হয়।
আঁিখর ভাই ও মামলার বাদী শাহাদাত হোসেন গনমাধ্যমকর্মীদের জানায়, বিয়ের কিছুদিন পর হতেই যৌতুকের জন্য আঁিখর সাথে তার স্বামী ও তার পরিবারের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এইজন্য কিছুদিন পুর্বে আঁিখ তার বাপের বাড়ি ফরিদগঞ্জের ফনিশাইর গ্রামে চলে আসে। এরপর গত ৪ মে শনিবার তার স্বামী আমানত আঁিখদের বাড়িতে আসে। ওই রাতে আঁিখ ও তার স্বামীর সাথে ঝগড়ার একপর্যায়ে আঁিখকে হত্যা করে বসতঘরের আড়ার সাথে আখিঁর লাশ ঝুলিয়ে দিয়ে সে পালিয়ে যায়্।
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ পরদিন লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেম সম্পন্ন করার পর তার লাশ দাফন করা হয়।
এর আগে শনিবার রাতে হত্যার ঘটনার পর রোববার রাতে নিহত গৃহবধু উম্মে কুলছুমা আঁিখর ভাই শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে আঁিখর স্বামী আমানত শাহকে প্রধান আসামি ও তার ভাই নুরে আলম, ভাবী শিউলী বেগম ও শাশুড়ী আসুয়া বেগমকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের (নং -১০। তাং- ৫.৫.২০১৯) করে। মামলার প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কারী কর্মকর্তা এস আই কাজী জাকারিয়া কৌশলে হাজীগঞ্জ বাজার থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক করে।