রিকি পন্টিং অস্ট্রেলিয়ার সহকারী কোচ হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে ব্যাপারটা। দলের ব্যাটসম্যানরা উন্মুখ হয়ে আছেন ভালো খেলার জন্য। সবাই চান ভালো খেলে পন্টিংকে খুশি করতে। আর সে কারণে অস্ট্রেলিয়া দলের পারফরম্যান্সও বদলে গেছে
দারুণ ফর্মে আছে অস্ট্রেলিয়া। সম্প্রতি পাকিস্তানকে ৫-০-তে হোয়াইটওয়াশ করে সবাইকে বার্তা দিয়ে দিয়েছে তারা। তাদের আরও বড় বার্তা স্টিভ স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নারের প্রত্যাবর্তন। এক বছর আগেও যেখানে অস্ট্রেলিয়াকে কেউ ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য ফেবারিট হিসেবে দেখছিল না, সেখানে দৃশ্যপটটা হঠাৎই বদলে গেছে। ব্যাটসম্যানরা ভালো খেলছেন। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের মতো দলের এই বদলের মূলে নাকি আছেন সহকারী কোচ ও দুবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং। তিনি আরও একটি মজার তথ্য দিয়েছেন, পন্টিংকে নাকি ‘পটাতে’ ব্যস্ত বেশির ভাগ ক্রিকেটারই। সবাই তাঁকে ‘পটাতে’ চান ভালো পারফরম্যান্স দিয়েই। আর সে কারণেই দলে একটা চনমনে ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আর পন্টিং আসার পর থেকেই ভোজবাজির মতো দলের চেহারা পালটে গেছে। যে উসমান খাজাকে আগে টেস্ট বিশেষজ্ঞ ভেবে ওয়ানডে দলে নেওয়া হতো না, সেই খাজা আজ ওয়ানডে দলের অন্যতম অংশ। ফিঞ্চ নিজেও গত কয়েক মাসে ব্যাটসম্যান হিসেবে অনেক উন্নতি করেছেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যাশটন টার্নার, মার্কাস স্টয়নিসরা সুযোগ পেলেই নিজেদের জাত চেনাচ্ছেন। আর এসব সম্ভব হয়েছে পন্টিং আসার পরই। সবাই নাকি সাবেক অধিনায়ককে মুগ্ধ করতে রীতিমতো পাগল, ‘আট বছরের বাচ্চা মেয়েরা জাস্টিন বিবারকে পেলে যেমন করে, ড্রেসিংরুমে পান্টার (পন্টিংয়ের ডাকনাম) কে পেয়ে আমাদের ব্যাটসম্যানেরাও তেমনই করছে। সবাই পান্টারকে মুগ্ধ করতে চাচ্ছে। জিনিসটা বিব্রতকর, কিন্তু একই সঙ্গে দলের জন্য বেশ ভালো!’
পন্টিং নিজে কিন্তু সবচেয়ে খুশি হবেন অস্ট্রেলিয়া টানা দ্বিতীয়বার কাপ জিতলেই!