অনেকটা মিষ্টি ভাষার অধিকারী হাজী আবদুল কাদের মিয়া। সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় ওই কাদের সন্দ্বীপের গ্রামে-গ্রামে গত দেড় যুগ ধরে সামাজিক বিভিন্ন কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে তিনি দেশ-বিদেশে বেশকিছু সম্মাননা পদকও পেয়েছেন। এলাকাভিত্তিক মানুষকে সহযোগিতা করেন। গরীব মেয়ের বিয়ে এবং যুবকদের বিদেশ যাত্রা, চিকিৎসা কিংবা চাকুরীতে যোগদানের সময় তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন বলে এলাকায় জনশ্রুতিও রয়েছে। স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা এবং সামাজিক সংগঠনে তিনি আর্থিক সহযোগিতা করে তৃপ্তিবোধ করেন। এসব কারণে সন্দ্বীপের শান্তপ্রিয় মানুষগুলো তাকে ‘গরীবের বন্ধু কাদের’ নামে আখ্যায়িত করেন। তিনি কারও ক্ষতি করেননি। বরং মানুষকে ভালবেসে আমেরিকায় নিজের ব্যবসার কষ্টের টাকা দেশে ব্যয় করেন মানুষের জন্য। মাদক, যৌতুক ও বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে তিনি কাজ করছেন। ফলে তাঁর জনপ্রিয়তা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও একটি মহল তাঁর ভাল কাজে অখুশি। তবুও থেমে থাকার মানুষ নয় তিনি। বর্তমানে দেশে না থাকলেও তিন সন্তানের জনক এই কাদের যে কোন সমস্যা হলে এলাকায় ছুটে আসেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কেন্দ্রীয় এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে আবদুল কাদের মিয়ার সু-সম্পর্ক রয়েছে বহুদিন। নিজের সততা, কঠোর পরিশ্রম এবং মনোবল থাকলে যে কোন বাধাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া যায়; এমনটাই বিশ্বাস করেন তিনি। শুধুমাত্র মানুষকে ভালবেসে আরো এগিয়ে যেতে চান তিনি। আবদুল কাদের মিয়া বিগত জাতীয় নির্বাচনে সন্দ্বীপ থেকে আওয়ামী লীগের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এরইমধ্যে কয়েক দফায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করেন তিনি। নেত্রীর ব্যক্তিগত ত্রাণ তহবিলে তিনি অনুদানও প্রদান করেন। আবার সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী এবং এমপির সাথে তাঁর সু-সম্পর্কের কথা এলাকার অনেকেই জানেন। উপজেলা এবং পৌরসভার বেশিরভাগ সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দ আবদুল কাদের মিয়াকে পছন্দ করেন। চট্টগ্রাম শহরেও তিনি সামাজিক কর্মকা-ে সম্পৃক্ত আছেন।
তিনি সন্দ্বীপের হাজী আবদুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, যুক্তরাষ্ট্রের বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক, যুক্তরাষ্ট্রের বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগের সভাপতি এবং সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ছাড়াও দেশ-বিদেশের একাধিক সেবামূলক সংগঠনের সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। সন্দ্বীপের আমজনতার মতে- কাদের সন্দ্বীপে নিয়মিত যেতে পারলে অনেক হত দরিদ্র মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতো। তাছাড়া তাকে এমপি হিসেবেও অনেকেই দেখতে চান। কারণ, তিনি জনবান্ধব একজন নেতা।
আবদুল কাদের মিয়া সাংবাদিকদের জানান, আমি অতীতে সাধারণ মানুষের যেভাবে পাশে ছিলাম, সামনেও থাকবো। যতই বাধা আসুক, মানুষের জন্য কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। যারা সন্ত্রাস করে তারা কখনো জনগণের বন্ধু হতে পারেনা। গরীব-দুঃখী মানুষের কল্যাণে অবশ্যই কাজ করবো। সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে ঘৃণা করি। এজন্য মানুষও আমাকে খুব ভালবাসেন। তাই মানুষের হৃদয়ের টানে বার বার এলাকায় ছুটে যেতে চাই।