নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমানকে ফের স্বপদে বহাল করেছে হাইকোট। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল হাইকোটের বিচারপতি এফ.আর.এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে.এম. কামরুল কাদেরের যৌথ ব্যাঞ্চ আবদুর রহমানের অপসারণের আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে স্বপদে বহালে ওই আদেশ দেন।
এরআগে গত ৭ মার্চ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণালয়ের উপসচিব মো.ইফতেখার আহম্মদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ছাতারপাইয়া ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমানকে নির্বাচনী আয় ব্যায়ের হিসাব (রিটার্ন) দাখিল না করার অভিযোগে তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিলেন। ওই বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ২৫ এপ্রিল চেয়ারম্যান আবদুর রহমান হাইকোটে একটি রিট আবেদন করলে আদালত ওই বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছিলেন।
কিন্তু এরপরও গত ২৫ এপ্রিল স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ.তানভীর আজম ছিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে স্থানীয় সরকার আইন (ইউনিয়ন পরিষদ) ২০০৯এর ৩৪(৪)(ছ) অনুযায়ী তাকে স্থায়ী ভাবে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের আদেশ প্রদান করা হয়।
এরপর ওই চিঠির আলোকে ৩০ এপ্রিল সেনবাগ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষনা করে গণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
এরপর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান আবারো ১৪ মে অপসারণের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোটের দারস্ত হলে হাইকোটের বিচারপতি এফ.আর.এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে.এম কামরুল কাদেরের যৌথ ব্যাঞ্চ ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের শূন্য ঘোষিত আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত ঘোষনা করে চেয়ারম্যান পদে আবদুর রহমানকে স্বপদে বহালের আদেশ প্রদান করেন। এখন থেকে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়ীত্ব পালতে আর কোন বাঁধা রইলনা।
এব্যাপারে যোগাযোগ করলে বৃহস্পতিবার বিকার সাড়ে ৩টার সময় সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান এসংক্রান্ত আদেশের একটি কপি চেয়ারম্যান সাহেব তাঁকে দিয়েছে বলে স্বীকার করেন। তবে,সরকারি ভাবে এখন পর্যন্ত কোন চিঠি পাননি বলে জানান।
আবদুর রহমান নোয়াখালী জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, সেনবাগ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগেও বিভিন্ন সময় তাকে আরো ৬ বার বরখাস্ত করেছিলো মন্ত্রনালয়।
চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এএম মাহবুব উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন মজুমদান।
অপরদিকে সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন-ডি.এ.জি,এ্যাডভোকেট এ.বি.এম.আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, এ.এ.জি,এ্যাডভোকেট মোঃ সাইফুল আলম ও এ.এ.জি অ্যাডভোকেট প্রহলাদ দেবনাথ