নীলফামারী পল্লী বিদ্যুত সমিতির গ্রাহকদের মাঝে চোরাই মিটার দেয়ার হিড়িক পড়েছে। এর ফলে বিপাকে পড়েছে বৈধ বিদ্যুত গ্রাহকগন। এরইমধ্যে গত এক সপ্তাহে ৩ টি চোরাই মিটার গ্রাহকদের বাড়ী হতে খুলে এনেছেন কর্মকর্তারা। এমনি শত শত মিটার এখনো রয়েছে কতিপয় গ্রাহকদের বাড়ীতে যা এখনো তদন্তের দাবী রাখে। আর এসকল অপকর্মের মুল হোতা নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিমলা উপজেলার নিজ পাড়া গ্রামের জসিয়ার রহমানের ছেলে হাছিনুর রহমান নামের জনৈক এক ইলেকট্রেশিয়ান। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, নিয়মানুযায়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির যথাযথ অনুমোদনের পর অফিসের নির্ধারিত লাইনম্যান কতৃক গ্রাহকের বাড়ীতে মিটার স্থাপন করে মিটার সিলগালা করে দেয়া হয়। ইলেকট্রেশিয়ান হাছিনুর এসবের কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই গ্রাহকদের সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অফিসের কোন প্রকান অনুমোদন ছাড়াই নিজেই চোরাই মিটার সংগ্রহ করে কোন প্রকার সিলগালা না করেই গ্রাহকদের বাড়ীতে স্থাপন করে দিতেন। এভাবে তিনি বছরের পর বছর ধরে গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করে আসছেন। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের আওতাধীন ডিমলা নিজপাড়া কৈপাড়া গ্রামের শফি উদ্দিনের ছেলে মশিয়ার রহমান ও তমিজ উদ্দিনের ছেলে জোনাব আলীর বাড়ী গত সপ্তাহে ওয়ারিং করেন ইলেকট্রেশিয়ান হাছিনুর। এরপরই তিনি ডিম-এফ-৩৭-৭ নং খুটি হতে ওই দুই বাড়ীতে দুটি চোরাই মিটার লাগিয়ে দেন। মিটার রিডিং করতে গিয়ে ডিমলা অফিসের লাইনম্যান রশিদুল ইসলাম তার সহকারী সহ সিলগালাবিহিন দুটি চোরাই মিটার দেখতে পেয়ে তা খুলে নিয়ে আসেন। অপরদিকে ডিমলা পাথরকুড়া গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে মমিনুর রহমানের বাড়ীতে এক বছর পুর্বে একটি মিটার লাগিয়ে দিয়ে যায় হাছিনুর। যার হিসাব নং-১৯০/২১৭০। বর্তমানে ওই সংযোগটি পোলের কাছে কেটে দেয়া হয়েছে। আবার সাতজান গ্রামের মৃত আনছার আলীর বিধবা স্ত্রী ফেন্সি বেগমের নামে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি মিটার হিসাব বরাদ্দ দেখায়। যার হিসাব নং-১৫৫/১৪১০। ফেন্সি বেগমের নামের বরাদ্দকৃত মিটার জনৈক শামসুল ইসলামের বাড়ীর বেড়ায় লাগিয়ে দেন হাছিনুর। বর্তমানে এসকল চোরাই মিটার নিয়ে বড়ই বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকগন। তারা যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে এর সুরাহা দাবী করছেন। এ ব্যাপারে ইলেকট্রেশিয়ান হাছিনুর রহমান ওই দুই বাড়ীতে ওয়ারিং করার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, কে বা কাহারা আমাকে ফাসানোর জন্য রাতের আঁধারে মিটার লাগিয়ে আমাকে ফাসাচ্ছে। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডোমার-ডিমলা জোনের ডিজিএম আলম হোসেন দুটি মিটার খুলে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অবশ্যই সিলগালাবিহিন মিটার ব্যাবহার বে-আইনী।