তানোরের গ্রামে প্রান্তিক কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কিনছেন তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) নাসরিন বানু।বৃহস্পতিবার ও বুধবার দুপুরে তিনি তানোর পৌর এলাকাসহ উপজেলার কামারর্গাঁ ইউপি এলাকার হাতিশাইল গ্রামে গিয়ে ২৬ টাকা কেজি দরে সরাসরি ৯জন কৃষকের কাছ থেকে ২ মেট্রিকটন বোরো ধান ক্রয় করেন। ইউএনও’র এ উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ধানের ন্যায্য মুল্য নিশ্চিতে বিষয়ে কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা ও প্রানচাঞ্চ্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় তার সাথে ছিলেন তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, তানোর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র, তানোর খাদ্য গুদামের ওসি এলএসডি তারিকুল ইসলাম, কামারগাঁ খাদ্য গুদামের ওসি এলএসডি মাইনুল ইসলাম প্রমুখ। এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকৃত কৃষকদের তালিকা করে কৃষি কার্ড প্রদান করা হয়েছে এবং মাত্র ১০টাকায় কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে দেয়া হয়েছে। কৃষি ভুর্তুকির টাকা পাওয়াসহ বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছেন কৃষকরা। তিনি বলেন কৃষি কার্ড ধারী কৃষকরা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে ব্যাবসায়ীরা কৃষি কার্ড সংগ্রহ করে কৃষকদের নামে গুদামে ধান গেলেও লাভবান হয় ব্যবসায়ীরা। ফলে এ বছর উপজেলা প্রশাসন সরেজমিনে গ্রামে গিয়ে সরাসরি প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় শুরু করেছে, এতে করে প্রান্তিক কৃষকরা উপকৃত হবে। এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বাবু বলেন, প্রান্তিক কৃষকরা যেন সরাসরি গুদামে ধান দিতে পারেন এবং ধানের ন্যায্য মুল্য পান সে জন্যই এ উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন. কৃষকদের কথা চিন্তা করেই সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় শুরু করা হয়েছে। পরিশ্রম করে ফসল ফলাচ্ছে কৃষকরা কিন্তু লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা তাই কৃষকরা যেন ন্যায্য মুল্য পাই সে জন্যই এই প্রথম বারের মত সৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ক্রয় করা হচ্ছে।