জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার কৃষকদের দানের নায্য মূল্যে দিতে সরাসরি সকরারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ ধানের গুনগত মানের প্রত্যায়ন দিলেই কৃষকদের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে সেই ধান। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার খাদ্য গুদাম চত্বরে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের অনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মো. নূর-উর-রহমান।
কালাই উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজনে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক খাদ্য গুদামে উপজেলার প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে ২৬ টাকার কেজি দরে ধান ক্রয় করা হয়েছে এবার উপজেলার দুই-খাদ্য গুদামে বোরো ধানে ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩শ ৩৭ মেট্রিক টন। উপজেলায় ২৭ হাজার ৭শ ৮৭ জন কার্ডধারী মাঝে লটারী মাধ্যমে ৬শ ৭৪ জনপ্রতি ৫শ কেজি এই বোরো ধান ক্রয়ের আগামি ৩১ আগস্ট মাসেই শেষ হবে। বর্তমান বাজারে ৫ থেকে ৫৫০শ টাকা মণ বিক্রি হলেও সরকার নির্ধারিত ১ হাজার ৪০ টাকা মণে ধান বিক্রি করে খুশি উপজেলার কৃষকরা। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ জাকির হোসেন, কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন, কালাই থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ আবদুল লতিফ খান, উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোছাঃ রেবেকা সুলতানা, কালাই খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল আলম, উপজেলা চাউল কল মালিক সমিতির সধারন সম্পাদক হুমায়ন কবির তালুকদার প্রমূখ। উদ্বোধন শেষে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মো. নূর-উর-রহমান বলেন, অনেক পরিশ্রম করে কৃষকেরা ধান উৎপাদন করেন। এই ধান সরকারি নির্ধারিত মূল্যে কিনা শুরু হয়েছে। মধ্যসত্বভোগীরা যাতে সুবিধা গ্রহণ না করতে পারে সে জন্য কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা হচ্ছে। তবে কৃষকের ধান বিক্রয়ের সঙ্গে কোন মধ্যসত্বভোগীরা থাকতে পারবেনা। তাই সেদিকে জনপ্রতিনিধি, খাদ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ঠদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।