কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সরকারী খাদ্য গুদামে মুল চাষীদের নিকট থেকে ধান সংগ্রহের কথা থাকলেও একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা খাদ্য গুদামে ধান দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্বস্থসূত্রে জানাযায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সরকারী খাদ্য গুদামে ২৬ টাকা দরে ১৩৯ টন ধান ক্রয় করার জন্য গত ১৫মে ২০১৯ তারিখে এক অনাঢ়াম্বর পরিবেশে ধান সংগ্রহের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিন ১/২ টন করে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানাযায়। কিন্তু এই ধান কোথাকার এবং কে এই ধান খাদ্য গুদামে দিচ্ছে সেটা যানেনা কেও।
এই উপজেলার কার্ড ভিত্তিক মুল চাষীদের কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চাষী বলেন, সরকারী খাদ্য গুদামে ধান দেওয়ার চাইতে বাজারে বিক্রি করা ভালো। বাজারে ধান বিক্রি ভালো কেন এমন প্রশ্নের জবাবে চাষীরা বলেন, সরকারী খাদ্য গুদাম কিছু নেতা প্রকৃতির লোকেরা নিয়ন্ত্রন করে। তাই ধান দিতে গিয়ে আবার কোন ঝামেলাতে জড়িয়ে না যায় সেই ভয়ে বাজারে বিক্রি করায় ভালো। তারা অভিযোগের সূরে আরোও বলেন, সরকারী খাদ্য গুদামে ধান দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের কোন প্রকার সহায়তা প্রদান করা হয় না। বরং ধান দিতে গেলেই আরো হয়রানির স্বীকার হতে হয়।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে অভিযোগ উঠেছে সেটা সত্য নয়। গত ১৫ তারিখ থেকে খুব তাড়াহুড়া করে ধান সংগ্রহের কার্য্যক্রম শুরু করা হয়েছে এবং কার্ড আছে এমন চাষীদের নিকট হতেই আমরা ধান সংগ্রহ করছি।
কার্ড ভিত্তিক চাষীরা বাদে ব্যবসায়ীরা খাদ্য গুদামে ধান দিচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেটার সত্যতা কতটুকু এমন প্রশ্নের জবাবে, উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে চা-খাওয়ার দাওয়াত দেন এই প্রতিবেদককে।