নাটোরের বড়াইগ্রামের নওদাজোয়াড়ী গ্রামে রাস্তার সীমানা বিরোধ নিয়ে গ্রাম্য সালিশে বিবাদমান দুই পক্ষের সংঘর্ষে মহিলাসহ কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, নওদাজোয়াড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও রমজান আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক রাস্তার সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি সমাধানের জন্য গ্রামে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় প্রধানদের উপস্থিতিতে একটি সালিশ বসে। এক পর্যায়ের উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটলে সালিশ অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়ে যায়। সালিশ থেকে বাড়ি ফেরার পথে রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার ছেলে রনিকে (২০) প্রতিপক্ষ রমজান ও তার সহযোগিরা চাপাতি, হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে রফিকুলের লোকজন এগিয়ে এসে প্রতিপক্ষ রমজানের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা রমজান (৪৮), তার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪২), ছেলে হাশেম আলী (২৫) ও মেয়ে হাসি খাতুন (১৮) কে পিটিয়ে আহত করে একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে স্থানীয়দের সরিয়ে দেয়। পরে স্বজনেরা আহতদের মধ্যে রফিকুল ও রনিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যদেরকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে, লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এলাকার নারী-পুরুষ একত্রে হয়ে আহমেদপুর-গুরুদাসপুর সড়ক অবরোধ করে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস বলেন, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ হাল্কা লাঠিচার্জ করেছে।