রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (র.) বিমানবন্দরে সাবেক এক সেনা কর্মকর্তার খামখেয়ালীতে হুলস্থুল কা- ঘটেছে। অস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দরের প্রবেশ করার পর বিষয়টি ধরা পড়লে মূহুর্তের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। এ ঘটনায় সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তা নির্দোষ দাবি করলেও নিরাপত্তায় নিয়োজিত সিভিল এভিয়েশনের কর্মীরা তা অস্বীকার করেছেন। এভিয়েশনের কর্মীদের দাবি, অস্ত্রের বিষয়টি অবহিত না করেই তিনি বিমানবন্দরে ঢুকছিলেন। স্ক্যানিংয়ে ধরা পড়ার পর একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ২৭ রাউন্ড গুলিসহ ওই সেনা কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। পরে তার পরিচয়সহ অস্ত্রের বৈধ কাগজপত্র দেখায়। তখন তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি এয়ারপোর্ট থানায় অবগত করলে ওসি এসে অস্ত্রটির বৈধতা নিশ্চিত করে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর এসএম হাসান সাহেব আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই ঢাকা যাবার উদ্যেশে বিমানবন্দরে প্রবেশ করার পর বিষয়টি ধরা পড়লে হৈ চৈ পড়ে যায়। অবসরপ্রাপ্ত মেজরের গ্রামের বাড়ি নওগাঁ হলেও ব্যবসার সুবাদে রাজশাহী মহানগরীর উপশহরে বসবাস করেন। তার দাবি, বিমানবন্দরে ঢোকার সময় অস্ত্র থাকার বিষয়টি নিরাপত্তাকর্মীদের জানিয়েছেন। তিনি হয়তো শুনতে পাননি। তবে সিভিল এভিয়েশন তার দাবি নাকচ করেছে। আগ্নেয়াস্ত্রগুলো থানা হেফাজতে রেখে তার গন্তব্যস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরে ফিরে আসলে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো বুঝিয়ে দেয়া হবে।’
এ ঘটনায় হযরত শাহমখদুম (র.) বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সেতাফুর রহমান জানান, ‘এসএম হাসান নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটের বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার যাত্রী ছিলেন। বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় প্রথম স্ক্যানিংয়েই তার ব্যাগে অস্ত্র ধরা পড়লে সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা কর্মী মাজেদুল ইসলাম তাকে আটকান। এ নিয়ে হুলস্থুল শুরু হয়। খবর পেয়ে তিনি সেখানে ছুটে যান। এ সময় এয়ারপোর্ট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকীকেও ডাকা হয়। তবে অসৎ কোনো উদ্দেশ্যে তার কাছে অস্ত্র ছিল বলে আমাদের মনে হয়নি। তারপরেও অস্ত্রগুলো এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এসএম হাসানকে তা বুঝে নিতে হবে। আর এ ঘটনাটি যাত্রীদের মাঝে খুলে বললে সংশয় কেটে যায়।’