সেপটিক ট্যাংকে পড়ে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে সহায়তা দিলো চাটমোহর উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের দিনমজুর বক্কার হোসেনের ছেলে নির্মাণ শ্রমিক ফরিদ হোসেনের পরিবারকে সহায়তা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার। এদিন ইউএনও,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম শামীম এহসান নিহত ফরিদের বাড়িতে যান। এ সময় জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফরিদের মা ফরিদা খাতুনের হাতে ২০ হাজার টাকা এবং চাল-ডালসহ শুকনো খাবার তুলে দেন তারা।
এ ছাড়াও ফরিদা খাতুনকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে সেলাই মেশিন দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন ইউএনও।
এদিকে একমাত্র ছেলে ফরিদকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা ফরিদা খাতুন ইউএনওকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্না চেপে রাখতে পারেননি ইউএনও সরকার অসীম কুমারও। তার চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছিল অশ্রু। এ সময় ওই বাড়িতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
গত ১৭ মে চাটমোহর পৌর শহরের আফ্রাতপাড়া মহল্লায় অধ্যাপিকা খালেদা আক্তারের নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে মারা যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নির্মাণ শ্রমিক ফরিদ।
সরকার অসীম কুমার বলেন, ছেলে হারানোর বেদনা যে কি তা একজন মা সবচেয়ে বেশি বোঝেন। বিষয়টি হৃদয় দিয়ে অনুভব করার। আমরা তার ছেলের অভাব পূরণ করতে না পারলেও পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আগামীতে আরও সহযোগিতা করা হবে। ফরিদের মতো মেধাবী ছাত্র ও পরিশ্রমিরা যেন অকালে না হারিয়ে যায় এ জন্য সরকার এখন অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।