নীলফামারীর প্রধান সড়কের নির্মাণ কাজ নিয়ে ফের শুরু হয়েছে কানামাছি খেলা! জমি ও অবকাঠামোর দর নির্ণয় নিয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিত জটিলতা ও মামলা মোকদ্দমার কারনে নীলফামারী-দেবীগঞ্জ সড়কের নীলফামারী অংশের কাজ যে ভাবে পরিত্যক্ত হয়ে যায় ঠিক একই বেড়াজালে আটকা পড়েছে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের নির্মাণ কাজ। প্রায় ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নীলফামারী শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে সৈয়দপুর ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্থকরণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্পের (আর-৫৭০) নানা অনিয়ম নিয়ে এরই মধ্যে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে নতুন করে সমস্যা বেঁধেছে শহরের প্রবেশদ্বার মশিউর রহমান কলেজ মোড় থেকে চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্থকরণ নিয়ে। এক সড়কের শহর নীলফামারীর এ সড়কটিতে এমনিতেই প্রচন্ড চাপ। হিমশিম খেতে হয় রাস্তা পারাপারে। দীর্ঘ জানজটে নাকাল সড়কের কোল ঘেষেই গড়েউঠেছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত, মসজিদ, বহুতল ভবন। সূত্র জানায়, প্রথম দিকে কতিপয় জমি ও ভবন মালিক একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় শহরের মাঝ দিয়ে যাওয়া প্রধান সড়ক প্রসস্থকরণে বাদ সাথে এবং একই সাথে জমি অধিগ্রহনের কাজে নিয়োজিত অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে জমি ও অবকাঠামোর আকাশচুম্বি দর নির্ণয়ের বিষয়টি বিভিন্ন মহলে প্রকাশ পেয়ে যায়। ফলে শহরের প্রবেশদ্বার মশিউর রহমান কলেজ মোড় থেকে চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত সড়কটি সোল্ডার ব্যারিরেকেই ৩৩ ফুট সড়ক, ডিভাইডার, ড্রেন ও ওভার ব্রীজ নির্মানের পরিকলল্পনা চূড়ান্ত করেন নীতিনির্ধারকরা। এদিকে পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের আহ্বানে সারা দিয়ে শহরের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার অর্ধশত প্রতিনিধি গত ২২ মে তার কার্যালয়ে মিলিত হন। শহরের ভিতরে সড়ক কেটেছেটে ক্যানো ছোট করা হচ্ছে সে ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন। তার দপ্তরের সাথে সড়ক নির্মাণ কাজে নিয়োজিত দপ্তরগুলি সমন্বয় করছেননা বলেও তিনি অভিযোগ করেন। ঐ সভা শেষে জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন এর সাথে সভায় মিলিক হন সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা। আলোচনা ফলপ্রসু না হওয়ায় বৃহস্পতিবার শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে মানববন্ধন করা হয় প্রধান সড়ক গাছবাড়ী পর্য়ন্ত প্রশস্থকরণের দাবীতে।