বিরল থানার এক এএসআই ও দুই কনেষ্টবলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ভাবে জিম্মি করে অর্থ হাতানোর গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রায় তিন শতাধিক উত্তেজিত জনতা বিরল থানায় অভিযোগ দিতে এলে থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি জেনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে সাদা পোষাকে বিরল থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন, কনেষ্টবল নকুল চন্দ্র ও কনেষ্টবল নাসিরুল ইসলামসহ কূখ্যাত মাদকসেবী ভবানীপুর বানিয়া পাড়া এলাকার চৌধুরী সায়েক ও মন্টু চন্দ্র দ্বয়কে সাথে নিয়ে উপজেলার রাণীপুকুর ইউপি’র কাজিপাড়া বাজার থেকে একই এলাকার আব্দুস সালামের পুত্র ওবাইদুর রহমান (৩৬) কে কোন অভিযোগ ছাড়াই থানায় নিয়ে আসতে চাইলে উপস্থিত লোকজন তা চ্যালেঞ্জ করে। জনসাধারণের উত্তেজনা দেখে সাদা পোষাকধারী পুলিশ তিনজনই তাৎক্ষনিক সটকে পড়ে। পরে প্রায় তিন শতাধিক উত্তেজিত জনতা রাত ১১ টার দিকে বিরল থানায় এসে বিষয়টি অভিযোগ আকারে বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম গোলাম রসূলকে জানান। ভুক্তভোগী অভিযোগকারীরা বলেন, এএসআই আনোয়ার, কনেষ্টবল নকুল ও কনেষ্টবল নাসিরুল গত ১৯ মে রাতে রাস্তা থেকে অনুরুপভাবে মাদকের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এই ওবাইদুর কে থানায় নিয়ে এসে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে রাতের মধ্যে ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেয়। আবার চারদিন পর ওবাইদুর কে তুলে নিয়ে আসতে গেলে স্থানীয় লোকজন ঐ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে। অভিযোগকারীরা বলেন, আমরা ঐ পুলিশ সদস্যদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছি। আমাদের এলাকার লোকজন এভাবে ঐ তিন পুলিশের হাতে জিম্মি হয়ে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অভিযোগ শোনার পর বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম গোলাম রসূল উপস্থিত সকলকে আশ্বাস দিয়ে বিষয়টির দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্ত করেন।