মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দীর্ঘদিন ধরে চলছে অধিকাংশ চিকিৎসক ও বিভিন্ন পদের জনবল সংকটসহ নানান দৈন্যতা ও অব্যাবস্থাপণার মধ্য দিয়ে। এ কারনে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার হাজারো মানুষ।
তথ্যানুসন্ধানীতে প্রকাশ মোল্লাহাট উপজেলাবাসীসহ আশ পাশ এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার পথ সুগম করতে জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি’র প্রচেষ্টায় ৩০ শয্যার মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবন সংস্কার ও আধূনিক নতুন ভবন নির্মাণের মাধ্যমে উন্নীত হয় ৫০ শয্যায়। নুতন ভবনে রোগীদের কেবিন, পৃথক আধূনিক ৩টি ও,টি,সহ সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনী সরঞ্জাম প্রদান করা হয়। অথচ কয়েক বছর পূর্বের তুলনায় বর্তমানে চরম ধ্বস / ভেঙ্গে পড়েছে চিকিৎসা সেবা ব্যাবস্থ্যা।
মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ১৬জন চিকিৎসকের স্থলে ৭জনকে পদায়ন / কর্মরত এবং ৯জনের পদ শূণ্য দেখানো হয়েছে। উক্ত ৭জনের মাঝে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ও মাত্র দুইজন মেডিকেল অফিসার বাস্তবে কর্মরত আছেন। অপর ৪জন চিকিৎসক বিভিন্ন তারিখে এখানে যোগদানের পর থেকে অনুপস্থিত এবং এখানে আর আসবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে বাস্তবে কর্মরত আছেন ৩জন। এদের মাঝ থেকে আবার দু’তিন মাস পরে ( অতি অল্প সময় ) অবসরে যাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল গফুর। ফলে মাত্র ২জন মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আতিকুর রহমান ভূইঁয়া ও ডাঃ অভিজিৎ কুমার মৃধা কর্মরত আছেন ও থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ল্যাব টেকনিশিয়ান এবং ডেন্টাল টেকনিশিয়ান ২জনেই ৪বছরের জন্য কোর্স করতে গেছেন। সুইপার ৫জনের স্থলে মাত্র ২জন থাকায় গোটা হাসপাতালের পরিবেশ থাকে নোংরা। সবমিলে চিকিৎসক ( প্রথম শ্রেণি )’র শূণ্য ৯ ও অনুপস্থিত ৪ মোট ১৩জন সহ অন্যান্ন স্তরের মিলে মোট শুন্য পদ ৪৯ জন। এছাড়া এক্সরে মেশিন নষ্ট ও টেকনিশিয়ান নাই প্রায় ৭বছর যাবৎ। বিভিন্ন অযুহাতে ব্যাবহৃত হচ্ছে না আধূনিক মানের ও,টি, এবং রোগীরা পাচ্ছে না কেবিন ব্যাবহারের সুযোগ।
অভিযোগ রয়েছে সরকারী নতুন এ্যাম্বুলেন্স এ হাসপাতালের রোগীদের পরিবহন সেবা না দিয়ে কেবল ব্যবসা/অধিক অর্থ উপার্জনে পরিচালনার। এ্যাম্বুলেন্সের চালককে এ হাসপাতালের রোগী পরিবহনের জন্য কম্পাউন্ডে / নিকটে খুজে পাওয়া যায় না। মোবাইল করলে রিসিভ করে যে কোন প্রভাবশালী নেতার রোগী নিয়ে দুরে আছেন এবং সারা দিনে ফেরা সম্ভব হবে না বলে যানান চালক রাজু বিশ্বাস।
বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শাহিনুল আলম ছানা বলেন, চিকিৎসক সংকটের কারণে বর্তমানে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা ঠিকমত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। এ সমাস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল গফুর বলেন, মোল্লাহাটের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য মাত্র ২জন মেডিকেল অফিসার এবং নিজে হিমসিম খাচ্ছেন। তিনি ইতি মধ্যে উর্দ্ধতস কর্তৃপক্ষ বরাবর চিকিৎসক চেয়ে আবেদন করেছেন বলেও জানান।