শ্বশুর বাড়ির লোকদের প্ররোচনায় আত্মহত্যা করা রিমা খাতুন (২৩) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হলেও কোন আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। মৃত্যুর ১৬দিন পার হলেও আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রিমার পরিবার। গত ৫ মে সকালে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অত্যাচার ও প্ররোচনায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রিমা।
রিমার পিতা একই উপজেলার রঘুনাথপুরের নজরুল ইসলামের দায়ের করামামলায় বলা হয়েছে, প্রায় দেড় বছর আগে চৌগাছার দশপাখিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলের শোয়েব আক্তার শুভ’র সাথে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয় রিমার। বিয়ের পরে স্বামীর সাথে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। কিন্তু কিছুদিন পরে থেকেই শাশুড়ি তাছলিমা খাতুন ও শ্বশুর আব্দুল মান্নানের প্ররোচনায় স্বামী শোয়েব আক্তার শুভ বিভিন্ন সময় যৌতুকের টাকার জন্য মেয়ের উপরে অত্যাচার করে। গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় রিমা খাতুন পিতার বাড়ি এসে মা শাকিলা খাতুন ও চাচাতো ভাবি তাহমিনা খাতুনকে বলেন যৌতুক বাবদ টাকা না দিলে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে জানান। শ্বশুর বাড়িতে ফিরে যেতে পরদিন একাধিকবার ফোন আসতে থাকে। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় কাউকে কিছু না বলে শ্বশুর বাড়িতে চলে যায় রিমা। ৫ মে সংবাদ পায় রিমা খাতুন গালায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তুজামাই বাড়িতে যেয়ে দেখতে পান মেয়ের শাশুড়ি, শ্বশুর, ও জামাই শোয়েব আক্তার শুভ পালিয়ে গেছে। আর রিমার লাশ পড়ে আছে। এ ঘটনায় রিমার পিতা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯ মে চৌগাছা থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে জামাই সোয়েব আক্তার শুভ, রিমার শ্বশুর আব্দুল মান্নান ও শাশুড়ি তাসলিমা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরর ১৪দিন পার হলেও কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।