যশোরে পুলিশের কথিত সোর্স রমজান আলী ও তার ভাইকে মারপিট ও টাকা ছিনতাই ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় মাদক কারবারীসহ চার সন্ত্রাসীকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ রাতেই তাদেরকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো, শহরের নীলগঞ্জ সুপারি বাগান এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে চিহ্নিত মাদক কারবারী মাসুদ, তুজা সরদারের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী লায়ন, জালাল উদ্দিনের ছেলে ময়না ও বারান্দী মোল্যাপাড়া কালভার্ট এলাকার গুরুদাস সাহার ছেলে মানিক।
শহরতলীর বকচর হুশতলার শফি শেখের মেয়ে তানজিলা ইসলামের দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা বাদীর ভাই রমজান আলী এবং চাচাতো ভাই রাকিবুল ইসলামকে মারপিট করার হুমকি দেয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বাদীর চাচাতো ভাই রাকিবুলকে একা পেয়ে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে মারপিট করে। খবর পেয়ে বাদীর ভাই রমজান আলী ঠেকাতে গেলে তাকেও মারপিট করে। এ সময় তারা রাকিবুলের পকেটে থাকা ২০ হাজার টাকা এবং রমজান আলীর পকেটে থাকা ২২ হাজার টাকা মূল্যের স্যামসং মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ওই সন্ত্রাসীরা হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে চলে যায়। এরপর তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি থানায় অভিযোগ দেয়া হলে রাতেই পুলিশ তাদের চারজনকে আটক করে।
উল্লেখ্য, মারপিটে আহত রমজান আলী পুলিশের কথিত সোর্স বলে অভিযুক্তরা সন্দেহ করে। ইতঃপূর্বে রমজান আলী ওই সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন অপকর্ম পুলিশকে তথ্য দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে বলে এলাকায় প্রচার রয়েছে।
পাশাপাশি আসামি মাসুদ একজন চিহ্নিত মাদক কারবারী। ইতঃপূর্বে পুলিশকে তথ্য দিয়ে তাকে ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগেই এদিন রমজানের উপর হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাসুদ কোতোয়ালি মডেল থানার এক দারোগার শেল্টারে থেকে মাদকের কারবার করে বলে অভিযোগ রয়েছে। আর রমজান আরেক দারোগাকে তথ্য দেয় বলে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।