রাজবাড়ীর সদরের তালিকাভুক্ত কৃষকদের নিকট হতে ন্যায্য মূল্যে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে সদর উপজেলা খাদ্য গুদাম প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হুসাইন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাঈদুজ্জামান খান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুন্সি মজিবুর রহমান, সদর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আবুল কালাম প্রমূখ।
রাজবাড়ী জেলার প্রায় ৬০ হাজার কৃষক বোরো ধান আবাদের সাথে নিয়োজিত। এবছর বোরো ধানের ফলন ভালো হলেও ধানের বাজার দরে নেমেছে ধস। যার কারণে কৃষকেরা এবছর ধানের আবাদ করে মারাত্বক ভাবে লোকসানের মধ্যে পরেছেন। উঠছেনা তাদের চাষের টাকা। ঋণ গ্রস্থ হয়েছেন অনেক কৃষক। তাই কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করে তাদের ক্ষতির পরিমান কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে।
সদর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো: আবুল কালাম বলেন, সরকারী ভাবে সদর উপজেলা থেকে ১৯১ মেঃ টন ধান ক্রয় করা হবে। কবে ধান গুলো অবশ্যই ১৪ ভাগ আর্দ্রতা, পোকা ও চিটা মুক্ত ধান ক্রয় করাপ হচ্ছে।
রাজবাড়ী ভারপ্রাপ্ত জেলা রপ্রশাসক মোঃ আলমগীর হুছাইন বলেন, তিনি বলেন জেলায় ৮০ হাজার মে. টন ধান উৎপাদন হয়েছে। আর সারা জেলঅ থেকে ধান ক্রয় করা হবে মাত্র ৪০০মেঃটন। সেই হিসেবে কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় কৃত ধানের পরিমান অনেক কম। তার পরও যাতে কৃষকরা কিছুটা হলেও উপকৃত হয়। পরবর্তিতে সরকারের কাছে রাজবাড়ী থেকে আরো ধান ক্রয়ের জন্য আহব্বান জানানো হবে।
রাজবাড়ী -১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী বলেন ,ধানের ফলন বেরেছে কিন্তু কৃষকদের উৎপাদন খরচ উঠছেনা। সে কারণে সরকার কৃষকদের কাছে সরাসরি ধান ক্রয় করছেন, তবে প্রত্যেক ইউনিয়নের একজন কৃষকের কাছ থেকে না কিনে বেশি ও প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে চিটা ও আদ্রতা মুক্ত ধান ক্রয় করা হচ্ছে। কোন অনিয়ম ছাড়াই রাজবাড়ীতে যাতে ধান ক্রয় করা হয় যাতেকোন প্রশ্ন বিদ্ধ না হয়।
বিক্রির জন্য আনা ধানে আদ্রতার পরিমান ১৪ শতাংশের বেশি ও চিটা থাকলে সে ধান কেনা হচ্ছে না এবং কৃষকদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত কার্ডধারী কৃষক হতে হবে। তাহলে তাদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করা হবে।
রাজবাড়ী সদরের তালিকাভুক্ত প্রতিজন কৃষকের নিকট হতে ১ মেট্রিকটন করে মোট ১৯১ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করবে সরকার এবং জেলার অন্যান্য উপজেলা গুলোতেও ধান ক্রয় শুরু হয়েছে। জেলায় মোট ৪০০ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হবে। তবে কৃষি অফিসের তথ্যানুসারে এ বছর রাজবাড়ীতে ৮০ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়েছে।