ধানের উৎপাদন ভালো হলেও ধানের দাম না পাওয়া। আম উৎপাদন গত বছরের চেয়ে কম হওয়ার আশংকা। গত বছরে আমের দামে ধস হওয়ায় এবারও আম বাজার মন্দ। সবমিলিয়ে ভোলাহাট উপজেলায় চলছে হাহাকার। বছর জুড়ে কি ভাবে সংসার চালাবে এ ভাবনা এখন উপজেলার পরিবারগুলোর মাঝে। এদিকে সিয়াম সাধনের মাস রোজা শেষের দিকে। ঈদুল ফিতর আসতে আর মাত্র ক’টাদিন বাঁকী। পরিবারের ছোট শিশুসহ সকল সদস্যরা ঈদের নতুন জামাকাপড়, ভালো খাবার ক্রয়ের বাইনা মিটানোর কথা। কিন্তু বাইনা মিটানো তো দুরের কথা সংসার চালানোর চিন্তাই পরিবারের অভিভাবকেরা। কারণ ধান ও আমের এ রাজ্য ভোলাহাট উপজেলায় সঠিক দাম না থাকায়। এক কৃষক আরমান জানান, তিনি কৃষক মানুষ। তার একমাত্র ভরসা ধান। ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। কিন্তু দাম খুব কম। ফলে ধান বিক্রি করে তরিতরকারি, জামাকাপড়, লবণ, তেলসহ সকল প্রয়োজনীয় জিনিষ ক্রয় করতে হিমসিম খাচ্ছেন বলে জানান। কম দামী ধান দিয়ে পরিবারের সদস্যদের কি করে ঈদের কেনাকাটার বাইনা মিটায় বলুন ছুঁড়ে দিলেন প্রশ্ন এ প্রতিবেদককে। আম ব্যবসায়ী আবদুর রহিম জানান, আমে গত বছর লাভের চেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। গত বছরের কারণে এ বছরে আম ক্রয় করতে আগ্রহ নাই অনেক আম ব্যবসায়ীর। ফলে আমের লাভ এ বছরেও না হওয়ার আশংকায় ভুগছেন অনেকেই বলে তিনি জানান। তিনি বলেন এসব কারণে ঈদের বাজার করার আগ্রহ থাকলেও আর্থীক অভাবে বাজার করা সম্ভব হচ্ছে না এলাকার মানুষের। একতা মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা সরজমিন গিয়ে শুভ থ্রি স্টার গার্মেন্সে গেলে তারা জানান, গত বছরের চেয়ে এবছর তেমন ক্রেতা নাই। ঢিলেঢালা ভাবে সকাল ও বিকেলে কিছু জামাকাপড় বিক্রি হলেও বাঁকী সময় অলস পার করতে হচ্ছে। একই এলাকার বিসমিল্লাহ শপিং, কল্পনা ফ্যাশন হাউসসহ বিভিন্ন গার্মেন্সে ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। মেডিকেল মোড়ের পাইকারী ও খুচরা মুদিদোকানদার সাইদুল ইসলাম ও শাহিন স্টোরের মালিক শাহিন জানান, তারা নিয়মিত ভাবে যে ভাবে পাইকারী ও খুচরা পণ্য বিক্রয় করেন সে ভাবেই বিক্রয় করছেন। ঈদের পণ্য ক্রয়ে তেমন কোন প্রভাব এখনও পড়েনি বলে জানান তারা। এদিকে বিভিন্ন বাজারা ঘুরে দেখা গেছে, নিত্য প্রয়েজনীয় পণ্যের দাম রোজার মাসকে ঘিরে ইচ্ছে মত হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তারা। ভোক্তারা পণ্য নাগালের মধ্যে রাখতে ভ্র্যামমাণ আদালত পরিচালনার দাবী জানান।