রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ৭নং পালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনায় উভয় পক্ষের শুনানী শেষ হয়েছে। সোমবার বিচারক এমদাদুল হক শুনানী শেষে আসামীদের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। নিহত ইসমাইল দেওয়াড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ৭নং পালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনী সহিংসতায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলার মোট ২২জন আসামীর মধ্যে ৮জন আসামি সোমবার সকালে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদনের জন্য আত্মসমর্পণ করে।
এদিকে একই মামলায় আরো দুই জন আসামীর দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জর করেছে একই আদালত।
ইসমাইল হত্যা মামলায় মোট ২২জন আসামীর মধ্যে এই ৮ জন আসামি হাইকোট থেকে ১৪ দিনের আগাম জামিনে ছিলেন। সোমবার শুনানীর সময় বাদি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি মো: ইব্রাহিম হোসেন, অ্যাডভোকেট এজাজুল হক মানু। আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক ও জুয়েল।
নিহতের স্ত্রী বিজলা বেগমের দেয়া তথ্য মতে, গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনী কেন্দ্রে ইসমাইলকে কুপিয়ে ফেলে চলে যায় বিএনপি-জামাত পক্ষের লোকেরা। এরপর তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পর দিন ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
রাজশাহী জলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মুস্তাক আহমেদ জানান, এই হত্যা ঘটনার তদন্ত শেষে মোট ২২জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলার পর এখন পর্যন্ত মোট ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ৪জন আসামি পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। মামলাটির তদন্তের স্বার্থে এই আট জন আসামীকে পর্যায়ক্রমে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে। পলাতকদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।