বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের জিউধরা ইউনিয়নে বিক্ষোভ করেছেন এলাকার ভিজিডি কার্ডের সুবিধাভোগীরা। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশার বিরুদ্ধে একটি স্বার্থান্বেশী মহল কর্তৃক চাল আত্মসাতের কাল্পনিক অভিযোগের প্রতিবাদে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে ভিজিডি সুবিধাভোগীরা বিক্ষোভ করেন।
জানা গেছে, গত ৫ মে ইউনিয়নের ২শ’ ৬০ জন ভিজিডি সুবিধাভোগীর মাঝে ৩ মাসের চাল একত্রে বিতরণ করা হয়। কার্ডেও ৩ মাসের স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এক মাসের চাল পরবর্তীতে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়ে দেন চেয়ারম্যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও মোশারেফ হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে চাল আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের করেন।
এ অভিযোগের কথা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার, পরিষদের সচিব, অন্যান্য মেম্বর ও সুবিধা ভোগীরা। আজ রবিবার পরিষদে চাল বিতরণকালে ট্যাগ কর্মকর্তা মৃলেশ কান্তি মজুমদার বলেন, চাল আত্মসাতের অভিযোগ কাল্পনিক। ৩ মাসের চাল বিতরন করা হয়েছে। কার্ডেও ৩ মাসের স্বাক্ষর করা হয়েছে। আত্মসাতের সুযোগ নেই। ইউপি সচিব মাহবুবুর রহমান ও পরিষদের সদস্যরা বললেন একই কথা।
সুবিধাভোগী ডেউয়াতলা গ্রামের বিউটি বেগম(৩৮), ঠাকুরানতলা গ্রামের রুমি বেগম(৪২), তাসলিমা বেগম(৩৫), জিউধরা রাজিয়া বেগম(৩৫) ও ছোট লক্ষিখালী গ্রামের তৃপ্তি রানী হালদার(৩৪) ক্ষোভের সাথে বলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান চাল বিতরণে কোনো অনিয়ম বা আত্মস্বাত করেনি। প্রত্যকের নিজ নিজ বইয়ে ৩ মাসের স্বাক্ষর করে ৩ মাসেরই চাল নিয়েছি। বাকি এক মাসের চাল রবিবার আমরা পেয়েছি।
ইউপি সদস্য আবদুল হাকিম মৃধা, আরিফুল কবির বাচ্চু, শিমুল কান্তি মিস্ত্রী, চান মিয়া শেখ বলেন, ভিজিডি সুবিধাভোগীরা নিয়ম অনুযায়ী চাল পেয়ে আসছে। এবারে নতুন তালিকা হওয়ার কারণে ৩ মাসের চাল একত্রে বাকি ১ মাসের চাল বরিবার দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছে।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা চাল বিতরনের বিষয়ে বলেন, ভিজিডি কার্ডধারীরা ৩ মাসের চাল পূর্বে পেয়েছেন। বাকি ১ মাসের চালও বরিবার বিতরণ করা হয়েছে। ২৬০ জন ভিজিডি তালিকাভূক্ত ছাড়াও এ ইউনিয়নে অতিরিক্ত ২৩৫ জন হতদরিদ্র ব্যাক্তিকে চাল দেওয়া হয় বলেও চেয়ারম্যান জানান।