যশোরের কেশবপুরের হাট বাজারে জমেনি ঈদের বাজার। আর মাত্র ক’দিন বাদেই ঈদ। কৃষক ধান কেটে বস্তায় ভরার আগেই হালখাতা নামের তাগিদ পত্র। দাম নেই ধানের। উৎপাদন খরচ মিটিয়ে কৃষকের লাভ এখন শুধু বিচলি। ঈদ আর হালখাতা সামাল দিতে সাধারণ মানুষদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। কেশবপুর শহরের বেশ কয়েকটি জুতা, শাড়ি কাপড়, গার্মের্ন্টস, ও প্রশাধনির দোকান ঘুরে ক্রেতাদের উল্লেযোগ্য উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তার পরও ব্যবসায়ীরা আশা ছাড়েন নি। তাদেও ধারণ ঈদেও ৪/৫ দিন আগে বাজার জমতে পারে। প্রচন্ড তাপদহে সাধারণ মানুষ বের হতে পারছেন না। বিকেলের দিকে ও সকালের একটি সময়ে বেঁচা কেনা কিছুটা হলেও আশানুরূপ হচ্ছে না বলে অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা জানান। অপরদিকে গ্রামাঞ্চলের চিত্র ভিন্ন। এ সকল বাজারে এখনও ঈদের কেনা কাঁটা নেই বললেই চলে। কৃষকরা জানান, ধান উৎপাদন করতে তাদেও উৎপাদিত ধানের যে মূল্য বাজারে চলছে তাতে ধান কাটার শ্রমিকদের মূল্য উঠছে না। পানির বিল, শ্রমিক, সার, বীজের খরচ মিটিয়ে তারা এখন লাভ হিসেবে দেখছেন বিচলি(খড়)। এরপর শুরু হয়েছে পানির টাকার হালখাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দোকানে হালখাতা। যার মোকাবেলা করতে কৃষকদেও রিতীমতো নাভিশ্বাস উঠেছে। তার পরও ঈদের জন্য অন্তত ঃ বাচ্চাদেও জন্য নুতন কাঁপড় চোপড় কিনতে হবে তাদের। এমনিতর পরিস্থিতির মুখোমুখি সাধারণ মানুষ। গ্রামাঞ্চলের হাট বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ধান কাটার মৌসুমে হালখাতা না দিলে পরবর্তীতে বাকি টাকা ঘরে ফেরা দুষ্কর। তাই প্রতিবছরের ন্যায় তারাও হালখাতার আয়োজন করেছেন। ্ এ পর্যন্ত যারা দোকানের হালখাতার আয়েজন শেষ করেছেন তাদেও বাকি টাকার ২ ভাগই আদায় হয়নি। তারাও পড়েছেন ফাঁপরে। সব মিলিয়ে কেশবপুরের ঈদের বাজার জমে নি। ঈদের সপ্তাহ খানিক আগে বাজার জমতে পারে বলে ব্যবসায়ীদের অভিমত।