যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের দিঘা চালিতাবাড়িয়া গ্রামে দুই সন্তানসহ মায়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, মা হামিদা খাতুন (৩৪), মেয়ে শরিফা খাতুন (১২) ও ছেলে সোহান হোসেন (৫)। স্থানীয়দের ধারণা, স্বামী-শাশুড়ি তাদের বিষ খাইয়ে হত্যা করে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে প্রচার করেছে। ২৬ মে রাত ১১টার দিকে পুলিশ ওই তিনজনের লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী ইব্রাহিম ও শাশুড়ি জামিলা খাতুনের সঙ্গে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো হামিদার। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন তারা। এ কারণে মা-ছেলে মিলেই বৌ-বাচ্চাদের বিষ খাওয়াতে পারে বলে এলাকাবাসী ধারণা করেছে। অবশ্য এ ঘটনাকে তারা আত্মহত্যা বলে দাবি করেছে। ইব্রাহিম কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের কাছে চা বিক্রি করে সংসার চালাতো। দোকানের পাশেই তারা থাকতেন।
নিহতের ভগ্নিপতি ইজ্জত আলী বলেন, গত ১৫ বছর আগে হামিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার শাশুড়ি প্রায় সময় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। নিহতের শাশুড়ি মরিয়ম বেগমের চারিত্রিক ত্রুটি রয়েছে। নিহতের স্বামী ইব্রাহিম স্থানীয় বাজারে চায়ের দোকান আছে। একই এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে মরিয়ম বেগমের পরকীয়া ছিল বলে অনেকে জানিয়েছে। এসব ঘটনায় স্থানীয়ভাবে কয়েক বার সালিস বৈঠকও হয়েছে। অনৈতিক সম্পর্কে বাধা দেয়ায় মাস দুই আগে তপন মোল্যা নামে একজন পরকীয়া প্রেমিক ইব্রাহিমকে মারপিট করে। এসব নিয়ে মরিয়মের সাথে হামিদার ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকতো।
শার্শা থানার ওসি এম মশিউর রহমান বলেন, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত হামিদার শাশুড়ি মরিয়ম ও শশুর আরাফাতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।