পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি শহর অঞ্চলের শিক্ষিত মানুষের মাঝে যেমন গ্রহণযোগ্য হয়েছে, দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের কাছে সচেতনতার তথ্য সেভাবে পৌঁছেনি। তাদের যদি এ বিষয়ে সচেতন করা না যায় তবে রাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। সোমবার দুপুরে যশোর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলা পরিবার পরিকল্পনা দফতর আয়োজিত সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে অবহিতকরণ কর্মশালায় এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক আবদুল আওয়াল।
তিনি বলেন, আশার কথা হচ্ছে, আমাদের অতিরিক্ত জনসংখ্যা এখন আর সমস্যা নয়। দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে বিদেশের বাজারে আমাদের শ্রম শক্তির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমই হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম যার মাধ্যমে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ সচেতন হতে পারেন। যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃ মৃত্যুহার লাখে ১৩৩ থেকে কমিয়ে ৭০ এ আনতে হবে। এজন্য সকলকে কাজ করে যেতে হবে।
কর্মশালায় বলা হয়, জনবল সংকট ও অবকাঠামোগত সমস্যা মোকাবিলা করেই যশোর জেলা মাতৃ মৃত্যুহার, শিশু মৃত্যুহারসহ বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে আছে। যেখানে দেশে টোটাল ফার্টিলিটি রেট (টিএফআর) ২ দশমিক ১, সেখানে যশোরে মাত্র ১ দশমিক ৬৭। দেশে মাতৃ মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৬, যশোরে ১ দশমিক ২। অর্থাৎ প্রায় সব সূচকে যশোর একটি ভালো অবস্থানে রয়েছে।
পরিকল্পিত পরিবার, বাল্যবিয়ে ও কৈশোরে গর্ভধারণ প্রতিরোধ, কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি, নিরাপদ মাতৃত্ব ও নবজাতকের স্বাস্থ্য এবং জেন্ডার বিষয়ে প্রচার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। জেলা পরিবার পরিকল্পনা দফতরের উপ-পরিচালক ডা. মুন্সি মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও আলোচনা করেন প্রেসক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা প্রমুখ।