শেষ হলো ভারতের লোকসভা নির্বাচন। যে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে বিজেপির তোপের মুখে পড়েন দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। শুধু তাই নয়, তার ভিসা বাতিল করে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ওইদিন রাতেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয় তাকে। আর ফেরদৌসের কারণে স্থগিত হয়ে যায় 'দত্তা'সহ বেশ কয়েকটি সিনেমার কাজ। অনেকেই হাল ছেড়ে দিয়ে ফেরদৌসের জায়গায় অন্য কোনো নায়ককে নিয়ে কাজ করার কথা ভাবছেন। তবে তাদের কাছে আরও কয়েকদিন সময় চেয়েছেন ফেরদৌস। তার বিশ্বাস, অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই এই জটিলতার সমাধান হবে। আবার তিনি স্বস্তির সঙ্গে দুই বাংলায় কাজ করতে পারবেন। ফেরদৌস বলেন, 'যদিও আমি আসলে জানি না এই জটিলতা কখন কাটবে। তবে এখন নির্বাচন শেষ। পরিবেশ এখন অনেকটাই শান্ত। আশাকরি ভারতীয় সরকার আমার অপরাধটাকে ক্ষমা করে আমাকে আবার ভারত যাওয়ার অনুমোদন দেবে। আমি সেই সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছি। কলকাতায় আমার বেশ কিছু কাজ আটকে আছে। আমার জন্য সেখানকার নির্মাতারাও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছেন।'
ফেরদৌসের প্রতি আস্থা রেখে 'দত্তা' সিনেমার পরিচালক নির্মল চক্রবর্তী জানান, ফেরদৌসের পরিবর্তে অন্য কাউকে নেয়ার ইচ্ছে নেই তার। ফেরদৌসের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। তাকে নিয়েই শেষ করবেন 'দত্তা' ছবির কাজ।
নির্মাতা নির্মল আশা করছেন আগামি জুনের শেষ দিকেই ফেরদৌসের ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ছবির কাজ শুরু করতে কোনো বাধা থাকবে না।
প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল 'দত্তা' চলচ্চিত্রের শুটিং করতে কলকাতায় যান ফেরদৌস। এরপর ১৪ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন ফেরদৌস। এরপরই একজন বিদেশি নাগরিক হয়ে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নেয়ায় ফেরদৌসকে নিয়ে আপত্তি তুলে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। সেই আপত্তির মুখে তুমুল সমালোচনার শিকার হন ফেরদৌস। স্থগিত হয় তার ভারতীয় ভিসা। ফেরদৌস যে প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন সেই কানাইয়ালাল আগরওয়াল নির্বাচনে জিততে পারেননি। রায়গঞ্জে বিজেপির প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর কাছে হেরে গেছেন তিনি।