চাটমোহর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণের বিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসকের তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ প্রদান করেছেন হাইকোর্ট। এই প্রতিবেদন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তার কারণ জানাতে বলা হয়েছে। গত ২০/০৫/২০১৯ তারিখে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান হাইকোর্টে ৫৯৪০ নং রিট পিটিশন দায়ের করেন। এর শুনানী শেষে ২২/০৫/২০১৯ তারিখে হাইকোর্ট রুলনীশি জারি করেন। অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান,এই স্থগিতাদেশের ফলে ‘চাটমোহর সরকারি কলেজ’ এর শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণে আর কোন বাঁধা থাকলো না। জেলা প্রশাসকের তদন্ত প্রতিবেদন অবৈধ ও স্থগিত হওয়ায় ইউএনও’র কোন মন্তব্য ব্যতীত অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণে প্রয়োজনীয় ফাইলপত্র শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে আর কোন বাঁধা রইলো না।
চাটমোহর সরকারি কলেজের আত্তীকরণ নিয়ে কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার ও কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের মধ্যে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয়। কলেজের শিক্ষকরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এনিয়ে চাটমোহর থানায় একাধিক জিডি করা হয়। শিক্ষকরা কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করা ছাড়া পোস্টারিং করেন ও লিফলেট বিতরণ করেন। অধ্যক্ষের পক্ষেও লিফলেট বিতরণ করা হয়। শিক্ষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাবনা জেলা প্রশাসক একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করেন। তদন্ত কমিটি অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রমাণ পান। গত ১৬/০৫/২০১৯ তারিখে পাবনা জেলা প্রশাসক কর্তৃক তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়। যার স্মারক নং ০৫.৪৩.৭৬০০.০২৩.৪৩.০০৯.১৯-৪৬২। অধ্যক্ষ দাবি করেন,তদন্ত প্রতিবেদনপত্র এর মাধ্যমে ‘চাটমোহর সরকারি কলেজ’ এর শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণে যে বাঁধা সৃষ্টি হয়েছিল তা রিট পিটিশনের শুনানী শেষে হাইকোর্ট রুলনীশি জারি করায় তা দূর হলো।