মোল্লাহাটের ঐতিহ্যবাহী সাচিয়াদহ চুনখোলা এম,বি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ওই বিদ্যালয়ের অন্তত বিশলক্ষ টাকার গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি বন্ধ ও পরিবেশ রক্ষার্থে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে গত সোমবার আবেদন করেছে এলকাবাসী। ওই গাছ বিক্রি ও টাকা আতœসাত চেষ্টার বিষয়ে ইতঃপূর্বে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের কয়েক সদস্য। এরপরও বিভিন্ন কৌশলে গাছ বিক্রি, টাকা আতœসাত ও পরিবেশ ধ্বংশের চেষ্টা অব্যাহত রাখায় এলকাবাসীর পক্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি স্বাক্ষরিত এ আবেদন করা হয়।
এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত আবেদন ও খোঁজ নিয়ে জানাযায়-শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাচিয়াদহ চুনখোলা এম,বি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯১৬ ইং সনে স্থাপিত হয়। এ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ৭/৮ একর জমিতে বিদ্যালয় কম্পাউন্ড, খেলারমাঠ ও সবুজ বনায়ন (বাগান) রয়েছে। অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে বর্তমান প্রধান শিক্ষক মুন্সি শামিম হাসানসহ কিছু অসাধু ব্যক্তি কেবল অর্থ আত্মসাতের উদ্ধেশ্যে মনোমুগ্ধকর/স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ধ্বংশ করতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় অন্তত বিশলক্ষ টাকা মূল্যের গাছ মাত্র তিনলক্ষ একান্ন হাজার টাকায় বিক্রির কাগজপত্র প্রস্তুত করছেন প্রধান শিক্ষক। প্রিন্স মোল্লা, জাহিদুল ইসলাম, মোঃ ফয়সাল মোল্লা, হোসাইন মোল্লা, মোঃ আশরাফুল খাকী ও মোঃ জহিরুল শেখসহ ৫৬ জনের স্বাক্ষরিত আবেদনে আরো উল্লেখ্য-যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা “গাছ লাগান-পরিবেশ বাচান” এই মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলছেন ঠিক সেই সময়ে এই গাছ বিক্রি ওই চেতনা/শ্লোগান বিরোধী। অভিযোগকারীরা আরো বলেন-কর্তৃপক্ষ বরাবরে জানানোর পরও কোন অযুহাতে গাছ বিক্রি বা পরিবেশ ধ্বংশ চেষ্টা বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মুন্সি শামিম হাসান বলেন- বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের কয়েক সদস্য তার নিকট অনৈতিক সুবিধা চেয়ে না পাওয়ায় প্রথম (১৬/০৫/১৯) ইং অভিযোগ করে। এরপরও যখন বুঝতে পারছে যে, গাছ বিক্রি ঠেকাতে পারবে না, তখন স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে দিয়ে গাছ বিক্রি বন্ধে আবেদন করানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন-গাছ বিক্রি করে স্কুলের বাউন্ডারী দেয়াল নির্মনসহ উন্নয়ন কাজ করা হবে।