মেঘনা নদীর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার তেতুইতলা ও রায়পাড়া এলাকায় কনকর্ড প্রুপ, মোনায়েম প্রুপ, প্রোভিটা গ্রুপসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ভরাট ও দখলকৃত অংশ অবমুক্তে অভিযান চালিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ সময় অন্তত ৩০ টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। জব্দকৃত বালু ও পাথর এবং ভরাটকৃত অংশ সর্বমোট ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করে দিয়েছে সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে প্রোভিটা গ্রুপের প্রায় এক কিলোমিটার ভরাটকৃত অংশের নিলামে অংশ নিতে আসলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার বিল্লাল হোসেনের উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের তার পূর্ব বিরোধ ছিল।
৬ দিনব্যাপী অভিযানের শেষদিনে বুধবার ২৯ মে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী, উপপরিচালক মোঃ শহীদুল্লাহ, সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ।
উচ্ছেদ অভিযানে দুটি ভেকু, দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ, একটি টাগবোট, বিপুল সংখ্যক উচ্ছেদ কর্মী, পুলিশ ও আনসার সদস্য, বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী বলেন, মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের মেঘনা নদীর দুই তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ৬ দিনব্যাপী অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে নদী দখল ও ভরাটের অভিযোগে খান ব্রাদার্স ডকইয়ার্ড, মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, আমান ইকোনোমিক জোন, ইউনিক গ্রুপ, অরিয়ন গ্রুপ,পলিমার ইন্ড্রাষ্ট্রিজসহ বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়। জব্দকৃত বালু ও পাথর ২ কোটি টাকার বেশী নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। এ ছাড়া দুটি ৪ তলা ভবন, ২টি দোতলা ভবনসহ গত ৬ দিনে মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে দুইশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।