ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে বিএস ডাঙ্গী গ্রামের হেলিপ্যাড নদীপাড় এলাকার সরকারি কাঁচা রাস্তা আটকিয়ে বসতভিটে নির্মান করে চলেছেন পার্শ্ববতী বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের মৃত শেখ কুটি মিয়ার ছেলে শেখ সামসুদ্দিন (৫০)। গত দু’দিন ধরে রাস্তা আটকিয়ে বসতভিটে নির্মান অব্যাহত রাখার খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে মাটি ভরাট কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ইউনিয়ন ভুমি অফিস কর্মকর্তা। কিন্তু ভিটে নির্মান কাজ বন্ধ করা হলেও রাস্তার উপরের অংশে ফেলা উঁচু নতুন মাটির স্তুপ অপসারন করা হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।
উক্ত রাস্তা ঘেষে এক বসতি গৃহকত্রী রওশনারা বেগম বুধবার বিকেলে জানান,“অত্র এলাকার শত শত পরিবার এই ভুবেন্বশ্বর শাখা নদের পাড় এলাকায় বসবাস করেন। এ নদী পাড়ের বসতি পরিবারের চলাচলের একমাত্র কাঁচা রাস্তার উপরের অংশের সিংহভাগ প্রসস্থতা জুড়ে বসতভিটে নির্মানের জন্য নতুন মাটির স্তুপ ফেলা হয়েছে। রাস্তা বন্ধ করার ব্যাপারে প্রশাসনকে অবগত করার পর ভিটে নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কিন্তু রাস্তার উপর মাটি অপসারন করা হয় নাই। এতে ওই রাস্তার পাড় দিয়ে গ্রামবাসী পায়ে হাঁটা চলাফেরা করলেও যান চলাছর বন্ধ রয়েছে”।
অবশ্য একই দিন নির্মানাধীন ভিটে মালিক শেখ সামসুদ্দিন জানায়, “ রাস্তার ঢালের নদী মধ্যের জমির মালিকানাও আমরা। বসতবাড়ীর ঘর উঠানোর জায়গা সংকুলান হয় না বিধায় রাস্তার উপর অংশের জায়গা জুড়ে ভিটে বেঁধে চলেছি। পরে নদীর ঢাল অংশ জুড়ে আমরা নিজ খরচায় রাস্তা বেঁধে দেবো”।
এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ ফজলুর রহমান খান বলেন, উপজেলা পদ্মা নদীর ভাঙন কবলিত শত শত পরিবার এসে অত্র এলাকায় বসবাস শুরু করেছে। তাই গত দু’বছরে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পর মাধ্যমে জনচলাচলের সুবিধার্থে অত্র রাস্তাটি গড়া হয়েছে। রাস্তাটির উত্তর সীমানায় সম্প্রতী এইবিবিকরন কাজও অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু রাস্তাটির দক্ষিন সীমানার পার্শ্ববতী জমি মালিক বসত ভিটে নির্মানের জন্য রাস্তার উপর মাটি ফেলে চরাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে”। এ ব্যপারে চরভদ্রাসন ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা (তহশীলদার) বলেন, “ আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম, তাই রাস্তা আটকিয়ে ভিটে বাঁধার কাজ বন্ধ করতে একটু দেরি হয়েছে”।