প্রসুতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বরগুনায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভাংচুর চালিয়েছে মৃত প্রসুতির স্বজনরা। বুধবার সকাল সারে ৮ টার দিকে শহরের বাজার সড়কের লাইফ কেয়ার ক্লিনিক এ- ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এই ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
মৃত প্রসুতির স্বজন সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা স্টেডিয়াম সংলগ্ন কড়ইতলা আশ্রায়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মো. হারুন অর রশিদের স্ত্রী প্রসুতি মায়া বেগম (৪০) কে সিজারিয়ান অপারেশন করার জন্য মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। দেড়টার দিকে ডা ঃ হুমায়রা প্রসুতিকে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। কিন্তু বিকেল ৪ টার দিকে প্রসুতির অবস্থার অবনতি ঘটে।
তখন লাইফ কেয়ার ক্লিনিক এ- ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক ডা ঃ এম, আর বিশ^াসকে খবর দেয়া হয়। তিনি এসে ডাঃ হুমায়রাকে খবর দেন এবং প্রসুতিকে বরিশালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। এ সময় প্রসুতির স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্স যোগে বরিশাল নেওয়ার পথে প্রসুতির মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় ডাক্তারের অবহেলায় প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগে বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে প্রসুতির স্বজনরা লাইফ কেয়ার ক্লিনিক এ- ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এব্যাপারে লাইফ কেয়ার ক্লিনিক এ- ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক ডা ঃ এম, আর বিশ^াস বলেন, বরগুনা ফার্মেসি পট্টির ফুলঝুড়ি ক্লিনিক এ- প্যাথলজি’র ডা ঃ হুমায়রা আমার ক্লিনিকের ওটিতে ওই প্রসুতিকে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। সিজারিয়ানের পর অবস্থা ঠিক ছিল। বিকেলে তার অবনতি ঘটে তখন ডা ঃ হুমায়রাকে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় রক্তের ব্যাবস্থা করে প্রসুতিকে বরিশালে পাঠানোর ব্যাবস্থা করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফুলঝুড়ি ক্লিনিক এ- প্যাথলজি বন্ধ রয়েছে। অন্য দিকে ডা ঃ হুমায়রার সাথে ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।