যশোরের চৌগাছায় আসামির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন একজন দারোগা। পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত দারোগাকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পেটে ও পিঠে ৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার রাতে উপজেলার মাঙ্গিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ওই আসামিকে পরবর্তীতে আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
থানা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ইফতারির পর চৌগাছা থানার এএসআই লিপোনুর রহমান ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে উপজেলার নারায়ানপুর ইউনিয়নের মাঙ্গিরপাড়া ওরফে মদিনাপাড়ায় যান। এ সময় তিনি মাঙ্গিরপাড়া গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে ওয়ারেন্টের আসামি হাসানুর রহমান হাসানের বাড়িতে অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি হাসান গাছি দা নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়। এ সময় দারোগা কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাসানুর গাছি দা দিয়ে দারোগাকে কোপাতে থাকে। ধারালো দায়ের কোপ দারোগা রক্তাক্ত জখম হন। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য সেখানে গিয়ে আহত দারোগাকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করেন। দারোগা লিপোনুর রহমানের পেটে ও পিঠে ৩টি করে সেলাই দিতে হয়েছে। তবে তিনি আশংকামুক্ত বলে জানান চিকিৎসক। ওইরাতেই অতিরিক্ত পুলিশ গ্রামটিতে অভিযান চালিয়ে আসামি হাসানুরকে আটক করতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ রিফাত খান রাজিব বলেন, ওয়ারেন্টের আসামি আটকের জন্য দারোগা লিপোনুর রহমান ওই গ্রামে যান। এ সময় তিনি আসামির হামলার শিকার হন। বর্তমানে দারোগা লিপোনুর রহমান সুস্থ্য আছেন। ঘটনার রাতেই আমরা আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।