মুক্তিযুদ্ধের সময় পিতাকে হত্যা ও বাড়িঘরে অগ্নিকা-ের বিচার চেয়ে ৪৮ বছর পর মঙ্গলবার যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। কেশবপুর উপজেলার আবদুর রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তি যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় দুইজনের নাম উলে¬খসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলো, একই উপজেলার পরচক্রা গ্রামের মৃত বেলায়েত আলীর ছেলে আজিজুর রহমান ও সৈয়দ আলীর ছেলে শামসুর রহমান।
কেশবপুরের পরচক্রা গ্রামের আবদুর রাজ্জাক মামলায় বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীর সাথে যোগসাজস করে আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী গঠন করে। রাজাকার কমান্ডার হিসেবে আজিজুর রহমানসহ তার সহযোগিরা স্বাধীনতাকামী লোকজনদের ধরে নিয়ে হত্যা করে এবং তাদের বাড়ি ঘর লুটপাট করতো। তার পিতা যশোর আলী মোল্যাকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করায় ১৯৭১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টার দিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। একই সময় তাদের বাড়িতে লুটপাট, ধানের গোলায় আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে মঙ্গলকোট বাজারের পাশে ব্রিজের ওপর নিয়ে থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে তার পিতাকে গুলি করে হত্যার পর লাশ নদীকে ফেলে দেয় আসামিরা। এরপর তার মা ও ভাইবোনদের হত্যা করার হুমকি দেয়। সেই পরিস্থিতিতে তারা যশোর সদর উপজেলার পতেঙ্গালী গ্রামে চলে আসেন। এ বিষয়ে একাধিকবার বিচার দাবি করেও কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। কারণ রাজাকার আজিজুর রহমানের দুই ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় বাদী পক্ষ ন্যায় বিচার দাবি করেও কোন ফল পায়নি। এখনও এ ঘটনা প্রচার না করার জন্য মাঝে মধ্যে তাদের হুমকি দেয়া হয়। তিনি পিতার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন আদালতের কাছে।