শিপ ইয়ার্ডের ভাঙ্গাড়ি ব্যবসার হিস্যা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আরমান হোসেন (২২) নামে এক যুবক নিহত হবার ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ইউএনও অফিস ঘেরাও ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে নিহত আরমানের স্বজনরা সহ¯্রাধিক লোকজন নিয়ে ইউএনও অফিসের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় ইউএনও হাসান সাদী তার কার্যালয়ে ছিলেন না তবে কর্তৃপক্ষের অনুরোধে কিছুক্ষণ পর তারা ইউএনও অফিসের সামনে থেকে সড়ে পাশের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধন থেতে তারা নিহত আরমানের খুনিদের অনঅতিবিলম্বে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
এদিকে গজারিয়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, নিহত আরমানের বাবা জসিম উদ্দিন মিয়া বাদী হয়ে ৩৩জনকে আসামি করে গজারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করার পর এখনো পর্যন্ত ১১ জন আসামীকে আটক করেছেন তারা বাকী আসামি আটকে তাদের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
উল্লেখ, নারায়ণঞ্জ শিপ ইয়ার্ড নামে একটি শিপ ইয়ার্ডের ভাঙ্গাড়ি ব্যবসার হিস্যা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ১৬ মে সকালে স্থানীয় হারুন-ইব্রাহিম গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষ আতাউর গ্রুপের সদস্যদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় জসিমউদ্দিন মিয়ার ছেলে আরমান ডান হাতে ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ চিকিৎসাধিন অবস্থায় ১৮ মে তার মৃত্যু হয়।