দু:স্থমহিলাদের ভিজিডি নামের তালিকাভূক্তি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতার দ্বন্ধের কারণে জামালপুরের মেলান্দহের ৫ মাসের ভিজিডির চাউল আটকে আছে।
৩০ মে দুপুরে শ্যামপুুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাতুজ্জামান সুরুজ মিলিটারির শ্যামপুরস্থ বাসায় সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ইউনিয়নবাসির পক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন-ইউপি চেয়ারম্যান সিরাতুজ্জামান সুরুজ মিলিটারি। ইউপি সদস্য আহসান হাবিব, খুরশেদ আলী, তোতা মিয়া, ভিজিডি সুবিধাভোগি মহিলাসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১১ নং শ্যামপুর ইউনিয়নের ১৮৩ জন দু:স্থ মহিলাদের ভিজিডি’র তালিকা উপজেলায় জমা দেন। কিন্তু এই তালিকার সাথে ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি খলিলুর রহমান আরো ৪০ জনের নামের তালিকা জমা দেন। তিনি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকও। এ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হবার কারইে ৫ মাস যাবৎ হতদরিদ্ররা বঞ্চিত হচ্ছেন। ঈদুল ফিতরের পূর্বেই ইউনিয়ন পরিষদের দাখিলকৃত তালিকা অনুযায়ী ভিজিডি প্রদানের আহবান জানানো হয়।
চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অভিযোগ, নেতার প্রেরিত ৪০ জনের তালিকায় মোট ৮ জন টিকে। বাকিরা এই ইউনিয়নের বাসিন্দাও নন। এমনকি ভিজিডির সুবিধাভোগির ক্যাটাগরিতেই পড়ে না। এমন অনিয়মে জড়িত হবার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ভিজিডির তালিকা প্রস্তুতের সময় বারবার ওই নেতার কাছে নামের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময় মত জমা দেন নাই। বরং চেয়ারম্যান-মেম্বারদের তালিকা তৈরিতে অনিয়ম করেছেন মর্মে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে কৃষি কর্মকর্তা ড. মাহফুজুল হক এই অভিযোগের তদন্তও করছেন। অনিয়মে জড়ানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অভিযুক্ত ওই নেতা ৪০টি নামের তালিকা জমা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নেতা খলিলুর রহমান জানান-ইউএনও সাহেবের সাথে আলাপ করেই আমি তালিকা জমা দিয়েছি। চেয়ারম্যান-মেম্বারদেরও অনিয়ম আছে। এখন আমাকে নাম নাদিলেও কোন আপত্তি নেই।
তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুল হক জানান-তালিকা ধরে ধরে অভিযোগের তদন্ত চলছে। নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। ঈদের আগে প্রতিবেদন জমা দিতে পারব কিনা? নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
ইউএনও তামিম আল ইয়ামীন জানান-ইউনিয়ন কমিটি তালিকা দিতে ব্যার্থ হলে উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্তে হতদরিদ্রদের মাঝে চাউল বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঈদের আগে হতদরিদ্ররা চাউল পাবে কিনা? এমন প্রশ্নে ইউএনও জানান-সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে বিষয়টির সুরাহার চেষ্টা করা হবে। শুধু তালিকা প্রস্তুতের নামে টানা ৫ মাস সময় ক্ষেপনের বিষয়ে ইউএনও বলেন-এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে শোকজ করব।