দীর্ঘ ২০ বছর বিনা বিচারে কারাভোগ করার পর মুক্ত আজাহার আলী রাজাকে পূর্নবাসনের জন্য সমাজসেবা কর্তৃক চার্জার ভ্যান প্রদান করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে এবং জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহযোগীতায় আজাহার আলী রাজা গত ২০১৮ সালে মুক্তি পায়।
মুক্তি পাওয়ার পর আজাহার আলী রাজা আর্থিক, পারিবারিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েন। তাকে আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের 'প্রবেশন কার্যক্রম' এর আওতায় 'অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতি'র তহবিল থেকে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও কিছু নগদ অর্থ আজাহার আলী রাজার হাতে তুলে দেন প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভ্যান প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল আলম একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও কিছু নগদ অর্থ আজাহার আলী রাজার হাতে তুলে দেন।
এসময় এডিসি (সার্বিক) মোঃ বজলুর রশিদ, এডিসি (রাজস্ব) জয়নুল আবেদীন, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক স্টিফেন মুর্মু, জেল সুপার মোঃ সাঈদ হোসেন, সমাজ সেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা মোঃ মুনির হোসেন, রাজবাটি সরকারি শিশু সদনের উপ-তত্ত্ববধায়ক মাহমুদা নুসরাত জাহান উপস্থিত ছিলেন।
প্রবেশনাল কর্মকর্তা মোঃ মুনির হোসেন বলেন, জাতীয় মানবাধীকার কমিশনের চেয়ারম্যান সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহ-পরিচালক বরাবর ডিও লেটারের মাধ্যমে আজাহার আলীকে সমাজে পূর্নবাসনের সহযোগীতার জন্য অনুরোধ করা হলে তাকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকার মূল্যে চার্জার ভ্যান সেডসহ প্রদান করা হয়।
এসময় আজাহার আলী রাজা বলেন, ২০ বছর জেলে থাকার কারণে তিনি আর্থিক, পারিবারিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েন। এই ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালিয়ে এখন তিনি জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। তিনি এজন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে শ্বশুর আবদুর জব্বারকে খুনের অপরাধে ২০০৫ সালে আজাহারকে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করেন নিম্ন আদালতের বিচারক। উচ্চ আদালতে মৃত্যুদন্ডাদেশের বিরুদ্ধে তার করা জেল আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শেষে ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর হাইকোর্টের রায়ে খালাস পান আজাহার আলী রাজা।এরপর অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৮ বছর সময় পেরিয়ে যায়। অবশেষে ২০১৮ সালের ২৩মে বুধবার সন্ধ্যায় কারাগারে আজাহারের বৈধ মুক্তির কাগজ পাওয়ার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।