নাচোলে পৌত্র’র (পোতা) লাঠির আঘাতে দাদা মশিউর রহমান (৪২) এর মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহীর পপুলার হাসপাতাল সিডিএম-এর আইসিইউতে সপ্তাহ ধরে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২.৩০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়েছে। মসিউর রহমান নাচোল পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সে হাজিডাঙ্গা গ্রামের মৃত জহুর আলীর ছেলে এবং নাচোল উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের ছোট ভাই। গত শুক্রবার বিকেলে মাথায় লাঠির আঘাত জনিত কারণে আহত ও অচেতন অবস্থায় তাকে প্রথমে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাজশাহীর সিডিএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন থেকেই রাজশাহী সিডিএম হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফসাপোর্টে তাকে রেখে নীবিড় পর্যবেক্ষণ করছিলেন ওই হাসপাতালের চিকৎসকগণ। কিন্তু লাইফসাপোর্টে রেখে সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা দেয়া হলেও তার অবস্থার কোন উন্নতি ঘটেনি। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপর সাড়ে ১২টায় মসিউরের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হলে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে বিকেলে পপুলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের নিকট মৃতদেহ হস্তান্তর করেন। ঘটনার অভিযোগে জানাগেছে, ২৪ মে (শুক্রবার) বিকেলে নাচোল পৌর এলাকার হাজিডাঙ্গা গ্রামে মসিউরের বসতবাড়ি সংলগ্ন চাচাতো ভাই গোল মোহাম্মদের জমির চাতালে মশিউরের ধান মাড়াইকে কেন্দ্রকরে উভয় পক্ষের মধ্যে কিছুসময় পর পর কয়েক দফা কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা উভয় পক্ষকে নিবৃত করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে মসিউর রহমান ও তার ভাইয়ের ছেলে ও ভাগ্নে অসিম ধাওয়া করে এগিয়ে গেলে অপর পক্ষের গোল মোহাম্মাদের ছেলে মিজানুর রহমান, রেজাউল ইসলাম ও পৌত্র সজিবের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে সজিব তার দাদা মশিউরের মাথায় লাঠির অঘাত করলে মশিউর গুরুতর আহত হয়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা আহত মশিউরকে নাচোল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ারুল আবেদীন সজিব উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী হাসপাতালে রেফার্ড করেন।