ধানের দাম না থাকলেও ছোট শহর চাটমোহরে ঈদের কেনাকাটা পিছিয়ে নেই। ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। ধানের দাম না থাকায় চলনবিল অধ্যুষিত চাটমোহর উপজেলায় কৃষক পরিবারগুলো কেনাকাটায় পিছিয়ে ছিলো। কিন্তু ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে,ততই আনন্দে আত্মহারা মানুষ ভিড় করছেন ঈদের মার্কেটে। তবে আম ও লিচুর দাম বেশি পাওয়ায় আম ও লিচু চাষীদের হাতে অর্থ জোগান হয়েছে। ফলে ঈদের বাজারগুলো জমজমাট হয়ে উঠেছে। গতকাল শুক্রবার ঈদ মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে,প্রতিট বিপনী বিতানে আবল-বৃদ্ধ-বনিতার ভিড়। বিশেষ করে শাড়ি ও জুতার দোকানে বেজায় ভিড়। উচ্চবিত্ত পরিবারের গৃহবধূরা ‘কাঞ্জিবরণ’ শাড়ি কিনছে। কদর বেড়েছে টাঙ্গাইলের সূতি শাড়ি। নি¤œবিত্ত পরিবারের জন্য হরেক রকমের প্রিন্টের শাড়ি। এছাড়া রাজশাহীর সিল্ক,পিওর,কাদোওয়ালসহ হরেক রকমের শাড়ির পসরা বসিয়েছে দোকানীরা। তরুন-তরুনীরা এবার গাউনের (জামা) প্রতি বেশি আকৃষ্ট বলে জানালেন খান বস্ত্রালয়ের মালিক সাইফুল ইসলাম খান। তিনি জানালেন,২০ রমজান পর্যন্ত তেমন ভিড় ছিলো না। কিন্তু এখন বেচাকেনা বেড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। মিনার বন্ত্রালয়ের মালিক রবিউল করিম জানালেন,সিট কাপড়,থ্রিপিস ও দেশী শাড়ির পাশাপাশি শিশুদের রকমারী পোশাকের চাহিদা কম নয়। বেচাকেনা বেড়েছে। চাটমোহর পৌর শহরের সরদার মার্কেট,মির্জা মার্কেট,জেএস মার্কেট,এআর প্লাজা,রফিক মার্কেট,হোসেন মার্কেটসহ অন্যান্য বিপনী বিতানগুলোতে সকাল খেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ক্রেতাদের ভিড়। চলছে গভীর রাত পর্যন্ত। এছাড়া উপজেলার রেলবাজার,শরৎগঞ্জ,হান্ডিয়াল,মির্জাপুর,ছাইকোলা বাজারসহ অন্যান্য গ্রামীণ বাজারগুলোও জমে উঠেছে। পৌর শহরের মন্ডল সু স্টোরের মালিক আলহাজ্ব আঃ রাজ্জাক জানালেন,ঈদে জুতার ব্যবসাটা ভালো হয়। এবারও এর ব্যতয় ঘটেনি। শিশু,নারী-পুরুষের হরেক রকমের জুতা,সেন্ডেল কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে বড়াল নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ভিড় করছেন দরিদ্র পরিবারের মানুষ। সেখানে মিলছে হরেক রকমের জামা-কাপড়। সবমিলিয়ে শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে চাটমোহরের ঈদের কেনাকাটা।