ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল এ্যান্ড বিএম ইন্সটিটিউট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আইয়ুব আলী মন্ডল ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ভোলাহাট উপজেলার ঝাউবোনা গ্রামের মৃতঃ নজরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম। তিনি জামায়াত শিবির নেতা ও নানা দূর্নীতি, অর্থ আত্মসাত, অস্ত্র মামলা, চাকুরি দেয়ার নামে শিক্ষিত বেকারদের সাথে প্রতারণা করা, তার অপকর্মের কারণে ড. শামসুর রহমান দাখিল মাদরাসা থেকে বহিস্কার হওয়াসহ নানা অপরাধ তুলে ধরে অভিযোগ করেন। তারা বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার মধ্যে বরাবর ভালো ফলাফল করে আসছে। হঠাৎ রবিউল ইসলাম একটি চক্রকের সহায়তায় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ দাবী করে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গাতে মিথ্যা বানোয়াট নিজস্ব গল্প সাজিয়ে অভিযোগ করায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থীরা বিব্রতকর অবস্থা ও হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানের যেমন সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে তেমনি শিক্ষার্থীদের ফলাফলে পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে। রবিউল ইসলামের মিথ্যা দাবী ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধাচারণ করায় ক্ষুদ্ধ প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা। সভাপতি আইয়ুব আলী মন্ডল বলেন, রবিউল ইসলাম এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে অধ্যক্ষ নয় তিনি যে ভূয়া অধ্যক্ষ তা প্রমাণ করে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের একাধীক তদন্ত প্রতিবেদনে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিবেদন তাকে ভূয়া অধ্যক্ষ বলা হয়েছে ,চলতি বছরের ১৯ মার্চ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপসচিব সালেহা আক্তার স্বাক্ষরিত ভূয়া অধ্যক্ষ হলে কমিটিকে অপসরণের দায়িত্ব দিয়ে চিঠি প্রেরণ করেন। এ ছাড়া নানা অভিযোগ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, তিনি বলেন রবিউল ইসলাম কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর হতে এমপিও ভূক্তি হয়নি, অর্থ আত্মসাতের সাথে যুক্ত এমন কি তিনি অনেক অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত বলে অভিযোগ করেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন পদমর্যদার কর্মকর্তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমাণ হয় রবিউল ইসলাম একজন ভূয়া অধ্যক্ষ। এ প্রতিষ্ঠানে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তারপরও বিভিন্ন দপ্তরের একেরপর এক মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করে হয়রানি করায় প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে ভূয়া অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে। এছাড়া ভূয়া এ অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের প্যাড ও ভূয়া স্মারক নং বসিয়ে নিজেকে অধ্যক্ষ দাবী করে আঞ্চলিক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহীর উপপরিচালক বরাবর কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অভিযোগ করেছেন। ভূয়া অধ্যক্ষ রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচানোর জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী করেছেন সংশ্লিষ্ট কলেজর ভূক্তভূগিরা।