বাগেরহাটের মোল্লাহাট ও চিতলমারী উপজেলায় ঈদুল ফিৎর উপলক্ষে ভিজিএফ (চাল) প্রদানে পার্শ্ববর্তী উপজেলার তুলনায় সীমাহীন বৈষম্য’র বিষয়ে সোচ্ছার হয়েছে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। একই সাথে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম (৪৫০’টি ও ৬০১’টি) পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ওই দুই উপজেলার জনপ্রতিনিধিসহ হাজারো মানুষ। পক্ষান্তরে পার্শ্ববর্তী ফকিরহাট উপজেলায় দেয়া হয়েছে ২৯২২০টি, চাহিদার চেয়ে বেশী পাওয়ায় ওই উপজেলা ফেরত পাঠাচ্ছে ১১৩৯৫ ভিজিএফ।
খোজ নিয়ে জানাযায়-তুলনামূলক অস্বচ্ছল উপজেলা মোল্লাহাটে ৭টি ইউনিয়নে মোট ৪৫০টি ভিজিএফ (চাল) আসছে। অনুরূপ চিতলমারী উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে মোট ভিজিএফ (চাল) আসছে ৬০১টি। পক্ষান্তরে পার্শ্ববর্তী ফকিরহাট উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নের জন্য আসছে ২৯২২০টি ভিজিএফ। চাহিদার চেয়ে বেশী হওয়ায় ওই উপজেলা থেকে ফেরত যাচ্ছে ১১৩৯৫টি ভিজিএফ। পার্শ্ববর্তী উপজেলায় চাহিদার তুলনায় অনেক বেশী এবং অপেক্ষাকৃত অস্বচ্ছল উপজেলায় অনেক কম পেয়ে উক্ত নামমাত্র ভিজিএফ বিতরণে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন মোল্লাহাট ও চিতলমারী উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধি। এবিষয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই সকল জনপ্রতিনিধিসহ হাজারো মানুষ। একপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এহেন সমাস্যা সমাধানের আশ্বাস পেয়ে ভিজিএফ (চাল) বিতরণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন জনপ্রতিনিধিরা।
এবিষয়ে মোল্লাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম ছানা বলেন-যেখানে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় ২৯হাজার ভিজিএফ সেখানে অপেক্ষাকৃত অস্বচ্ছল উপজেলায় (মোল্লাহাট) মাত্র ৪৫০ টি ভিজিএফ অত্যন্ত দুখঃজনক। তাই এ উপজেলার সকল চেয়ারম্যান নামমাত্র ভিজিএফ না নেয়ার/বিতরণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পান এবং সে অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যানদের’কে উক্ত ভিজিএফ নেয়ার ও বিতরণের পরামর্শ দেন।
এবিষয়ে বাগেরহাটের ডি,আর,ও, মোঃ আসাদ মিয়া বলেন-ফকিরহাটে অনেক বেশী এবং মোল্লাহাট ও চিতলমারীতে তুলনামূলক অনেক কমের বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। এছাড়া ফকিরহাট থেকে উদবৃত্ত ভিজিএফ ওই দুই উপজেলায় বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরো বলেন-এ অসামাঞ্জস্যর বিষয়ে তাদের কিছু করার থাকে না। কোথায় কি পরিমান দিবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ঢাকা থেকে।
চিতলমারী উপজেলার পিআইও সোহাগ ঘোষ বলেন-চিতলমারী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ৬০১টি ভিজিএফ আসায় এখানকার জনপ্রতিনিধিরা না নেয়ার জোট করছিলো। পরে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সমাধানের আশ্বাস পেয়ে ভিজিএফ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
ফকিরহাট উপজেলা পিআইও সাঈদা দিলরুবা সুলতানা জানান-তার উপজেলায় মোট ৮টি ইউনিয়নে বিতরণের জন্য ২৯২২০টি ভিজিএফ আসে। চাহিদার তুলনায় বেশী হওয়ায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে ১১৩৯৫ টি ভিজিএফ।
ভবিষ্যতে যেন এমন বৈসম্য আর না হয়/চাহিদা অনুযায়ী ভিজিএফ আসে সে বিষয়ে স্থায়ী সমাধানে জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীনের হস্থক্ষেপ কামান করছেন ওই সকল জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ।