লিচু বাগানে লিচু খেতে গিয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী। অভিযোগে লিচু বাগানের পাহারাদার মোঃ খলিল (২৩) এবং রনজিত দেবনাথ (৩০) নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
ধর্ষক মোঃ খলিল উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের প্রসাদপাড়া গ্রামের মৃত রফিক খাঁ এর ছেলে এবং রনজিত দেবনাথ জেলার খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের শুলশুলি গ্রামের কমল দেবনাথের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকালে উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের রাঙ্গালীপাড়া গ্রামের বীরমুক্তি যোদ্ধা গোপাল মাষ্টারের লিচু বাগানে লিচু খেতে যায় ছাত্রীটি। এ সময় ছাত্রীকে একা পেয়ে জোরপুর্বক ধর্ষক করে বাগানের দুই পাহারাদার মোঃ খলিল এবং রনজিত দেবনাথ। ছাত্রীটি বাগান থেকে কাদতে কাদতে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় আশেপাশের লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় সে ঘটনা খুলে বললে এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে দুই পাহারাদার কে আটক করে এবং পুলিশকে সংবাদ দেয়।
সংবাদ পেয়ে বীরগঞ্জ থানার এসআই মোঃ আমজাদ আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেল সাড়ে ৬টায় দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে এসআই মোঃ আমজাদ আলী জানান, গ্রেফতারকৃত মোঃ খলিল এবং রনজিত দেবনাথ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে দিনাজপুর এম. আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে । রনজিত দেবনাথের বাড়ী জেলার খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের শুলশুলি গ্রামে হলেও সে দীর্ঘ দিনধরে বীরগঞ্জ উপজেলা শতগ্রাম ইউনিয়নের প্রসাদপাড়া গ্রামে শ্বশুর সুরেশ রায়ের বাসায় থাকেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
বীরগঞ্জ থানার ওসি শাকিলা পারভিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংবাদ পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে ভিকটিমের পরিবারকে পুলিশের পক্ষ থেকে সব রকমের সাহায্যে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।