’প্রাণ সখীরে ঐ শোন কদম তলে বংশী বাজায় কে’ গানের লাইনটি কদম ফুল গাছের কথা তুলে ধরে। বাংলা কবিতা,গল্প আর গানে কদম ফুল বার বার উঠে এসেছে। বর্ষার ফুল হিসেবেই বেশি পরিচিত এই কদম ফুল। বাংলায় কদম ফুলের কদর সব শ্রেণির মানুষের কাছেই রয়েছে।
গাছ হিসেবে কাঠের তেমন কোনো গুরুত্ব না থাকলেও ফুলের প্রতি রয়েছে ভালোবাসা। কদম ফুল তাই বাংলার প্রেমের বার্তা বহন করে। বর্ষা এলেই বাংলার আনাচে কানাচে কদম গাছের ডালে তারার মতো ফুল ফুটে থাকে। তবে পাবনার বেড়া উপজেলায় কদম ফুল তার প্রস্ফুটিত হওয়ার জন্য বর্ষার অপেক্ষা করেনি। বর্ষা না এলেই বা কি! বর্ষা আসার অনেক আগেই বেড়া উপজেলার হাটে-মাঠে,বাড়ির আঙিনায় সর্বত্র কদম গাছে থোকায় থোকায় ফুল ফুটে আছে। একসময় এ উপজেলায় প্রচুর কদম গাছে দেখা মিললেও কাঠ হিসেবে গুরত্ব না থাকায় অধিকাংশই গাছ কেটে ফেলেন। যেগুলো রয়েছে সেগুলো নিতান্তই অযতœ আর অবহেলায় বাড়ির আনাচে কানাচে বেড়ে উঠেছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়ের দল গাছে উঠে ডাল ভেঙে ফুল নিয়ে ঘরে ফিরছে। গন্ধ আর সৌন্দর্যে কদম ফুল অন্য যে কোনো ফুলের থেকে কম নয়। বর্ষার বৃষ্টিতে বহু দূর থেকেই কদমের গন্ধ ভেসে আসে।