নাটোরের বড়াইগ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বনপাড়া বাইপাস মোড় এলাকায় দুটি দোকান বন্ধ করে জমিতে বালু ফেলে দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে মহিষভাঙ্গা মৌজার ৫৭ হালদাগের .৩১ শতাংশ জমি বিক্রির জন্য জমির মালিক সোহরাব হোসেন মোল্লা পাশের খোর্দ্দ কাচুটিয়া গ্রামের সুইটি পারভীনের সঙ্গে বায়না নামা করেন। বায়না নামার শর্ত মোতাবেক তিন মাসের মধ্যে দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করে জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়ার কথা। নির্ধারিত সময়ে টাকা না দেয়ায় সোহরাব হোসেন মোল্লা জমিটি রেজিষ্ট্রি করে দেননি। পরে তিনি সে জমিসহ মোট .৬৪ শতাংশ মহিষভাঙ্গার শাহীন আলমের কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু সুইটি তা না মেনে বায়না নামা অনুযায়ী জমি রেজিষ্ট্রির জন্য আদালতে মামলা করেন। শুনানী শেষে আদালত তিন লাখ টাকা বুঝে নিয়ে .৩১ শতাংশ জমি সুইটিকে রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সুইটি তা না মেনে বর্তমানে বায়না করা .৩১ শতাংশসহ মোট .৬৪ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে বালু ফেলছে। একই সঙ্গে সে জমিতে থাকা পল্লী চিকিৎসক শাহীন আলমের চেম্বারসহ দুইটি দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থরা আদালতে মামলা দায়ের করলে গত ১৭ এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সাইদুজ্জামান বিবাদমান জমিতে ১৪৪ ধারা জারী করেন। কিন্তু বিবাদী পক্ষ সে আদেশ না মেনে জমিতে জোরপূর্বক বালু ফেলে দখল করে চলেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুইটির প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম বাবু বলেন, আমি সুইটি পারভীনের কাছ থেকে .৩১ শতাংশ জমি কিনে নিয়ে তাতে মাটি ফেলছি। তবে তার দাবীর স্বপক্ষে তিনি কোন দলিলপত্র দেখাতে পারেননি।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, বিষয়টি জানি, ঘটনাস্থলে উত্তেজনা দেখা দিলে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে যেহেতু বিষয়টি আদালতের, তাই আদালতই সেটা নিষ্পত্তি করবে।