নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার দেওডুকোনঘাট বাজারে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে ২০টির বেশি দোকান ভাংচুর করে টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার সাড়ে বারটার দিকে কালীপাড়া ইউপি মেম্বার মানিক মিয়ার নেতৃত্বে মাইকে ডেকে গ্রামের লোকজনদের একত্র করে দেওডুকোন বাজারের দোকানে এ হামলা চালায়। স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকেলে ওই বাজারে মৌসুয়া গ্রামের কমল মিয়া এ বাজারে পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি করতে আসে। তখন চকপাড়া গ্রামের লবু হোসেনের পুত্র মুঞ্জুল হক(৬০) মাছ কিনতে যায় তার পাশের দোকানে। এ সময় তার কাছে পূর্বের মাছের পাওনা টাকা চায় কমল মিয়া। ওই সময় তার কাছে টাকা নেই বললে এর উত্তরে কমল মিয়াকে গাছে বেঁধে ঝুঁলিয়ে রাখবে বলে হুমকীদেয় কমল। এ ঘটনা শুনে বাজারে থাকা মুঞ্জুলের নাতী সাগর মিয়া একটি বাশেঁর লাটি দিয়ে তার শরীলে আঘাত করে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর থানায় কমলের পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মৌসুয়া গ্রামের মানিক মেম্বারের নেতৃত্বে গ্রামের ৪/৫ শতাধিক লোকজন নিয়ে বাজারে হামলা চালায়। এই সময় শাহিন, সাফায়েত,সহ বেশ কিছু ব্যবসায়ী উপর হালমা চালায়। দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে নেত্রকোনা সদর ও দুর্গাপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে সাফায়েত এর অবস্থা জটিল থাকায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এলাকায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে,জনমনে আতঙ্ক কাজ করছে। স্থানীয়দের দাবী,দেখে দেখে চকপাড়া গ্রামের দোকানগুলিতে হামলা,ভাংচুর,লুটপাঠ করা হয়েছে। ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্ষতিগ্রস্থ দোকানীরা। এ হামলায় প্রায় ২২/২৩ লাখ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানানো হয়। ঘটনার সত্যতা শিকার করে দুর্গাপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন ঘটনার সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলেই এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।